আল কোরআনই মুক্তির চাবিকাঠি : সেলিম উদ্দিন
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ মার্চ ২০২৫, ৫:৫২:১৫ অপরাহ্ন
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর, সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার গোলাপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, মহাগ্রন্থ আল কোরআনই বিশ্বমানবতার মুক্তির চাবিকাঠি এবং জাতীয় উন্নতি, সমৃদ্ধি ও সফলতার একমাত্র গ্যারান্টি। তিনি বলেন, মানবরচিত অনেক ফর্মুলাই অকার্যকর এবং ফলাফলহীন। তাই সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের আলোকে কোরআনের দীক্ষায় দীক্ষিত হতে হবে।
এ সময় তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করে রেখেছিল, দুর্নীতি, লুটপাট ও অবিচারে লিপ্ত ছিলো তারা। কোনো কিছুই তাদেরকে ক্ষমতায় রাখতে পারেনি। এদেশের তরুণ সমাজ সাধারণ জনতা তাদের লোক দেখানো চেতনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।
তিনি রোববার বিকালে বিয়ানীবাজারের ইউসুফ কমপ্লেক্সে বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌর জামায়াত আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের সময় দেশে কোন রাজনৈতিক পরিবেশ ছিলনা। এক ব্যক্তির কথায়, ইচ্ছা-অনিচ্ছায় দেশ পরিচালনা করা হয়েছে, তাই অন্যায়ের বিচরন ছিলো এই সমাজে যা মানুষকে বিষিয়ে তুলেছিলো। তিনি আরো বলেন, যে সমাজে একজন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়, সমাজ রাষ্ট্রের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে দুর্নীতি সে সমাজ বদলাতে হলে কোরআনের সমাজ বিনির্মানের কোন বিকল্প নেই। তাক্বওয়াভিত্তিক সমাজ গড়ার জন্য আমরা এই দেশকে গড়তে চাই কোরআনের আলোকে।
পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা জমির হোসাইনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আবুল কাশেম এবং সহকারী সেক্রেটারি রুকন উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন গোপালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাফেজ নাজমুল ইসলাম, বিয়ানীবাজার উপজেলা জামায়াতের আমীর ফয়জুল ইসলাম, বিয়ানীবাজার কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল্লাহিল বাকী চৌধুরী। পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন বৈরাগীবাজার সিনিয়র মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহবুব আহমদ, মুহাদ্দিস মাওলানা নিজাম উদ্দিন, জান্নাতুল উম্মাহ আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কালাম প্রমুখ।
এর আগে বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ উন্নয়ন ফোরাম আয়োজিত কোরআন ও ইসলামি জ্ঞান প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পুরো উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থী শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে পুরষ্কার তুলে দেয়া হয়।