সিলেটের চা বাগানে চা পাতা চয়ন শুরু
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মার্চ ২০২৫, ৯:০৮:৫১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিভিন্ন চা বাগানে মৌসুমের প্রথম চা পাতা চয়ন শুরু হয়েছে । এতে খুশিতে চা বাগান মালিক ও শ্রমিকসহ চা সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে দু’একটি বাগারে আনুষ্ঠানিকভাবে চা পাতা চয়ন শুরু হলেও কয়েকদিনের মধ্যেই সবকটি চা-বাগানে পুরোদমে চা পাতা চয়ন শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মালনীছড়া চা বাগানের একাধিক চা শ্রমিক বলেন, চা বাগানে অনেকদিন পর পাতা ভাঙতে আছি কি যে আনন্দ লাগের। আমরা বাগান মালিক ও শ্রমিক সবাই খুশি।
সিলেটের বিভিন্ন চা বাগান কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, বাগানে দোয়া মাহফিল এবং চা শ্রমিকদের পক্ষ থেকে গীতাপাঠসহ পূজা-অর্চনার মাধ্যমে অধীর আগ্রহে এবং পরম আনন্দে চায়ের কচি পাতা দু-হাত ভরে উত্তোলন করছেন চা শ্রমিকরা। যদিও বৃষ্টির কারণে এবার নতুন পাতা উত্তোলন কিছুটা দেরি হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় রয়েছে। আশাকরি কয়েক দিনের মধ্যেই বৃষ্টিপাত হবে, তখন সবুজে সবুজে ভরে যাবে চা বাগানের সবুজ কুঁড়ি।’
জানাযায়, চা বাগানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে চা গাছগুলোর মাথা নির্দিষ্ট মাপ অনুসারে ছেঁটে ফেলা হয়। এ সময় বাগানে চা পাতা উৎপাদন বন্ধ থাকে। তবে চা গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকেন শ্রমিকরা। টানা তিন মাস ধরে অপেক্ষা শেষে চা পাতা উত্তোলন শুরু করা হয় সাধারনত মাচ মার্সের শুরু থেকে। এবার বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কিছুটা বিলম্ব হয়েছে পাতা চয়ন করতে। তবে অনেক বাগানে সেচের মাধ্যমে চা গাছে নতুন কুঁড়ি গজিয়েছে। এতে অনেক চা বাগানে এখন চোখ জুড়ানো সবুজ আর সবুজ কচি পাতার হাতছানি। তবে বৃষ্টিপাতের পর বদলে যাবে চা বাগানের পরিবেশ ও প্রকৃতি। তৃপ্তির হাসি ফুটবে তখন চা শ্রমিকদের চোখে মুখে।
তারাপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক রিংকু চক্রবর্তী বলেন, শ্রমিকদের আন্তরিকতার মধ্যে আশাতীত উৎপাদন সম্ভব। কিন্তু এবার অনাবৃষ্টির কারণে চা উৎপাদনে ধস নেমেছে। চায়ের মৌসুমের শুরুতে পরিমিত বৃষ্টিপাত না হলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবেনা।