এলডিসি থেকে উত্তরণ আগামী বছরই
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মার্চ ২০২৫, ৯:৪২:১৫ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের নির্ধারিত সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা থেকে সরে এসেছে সরকার। অর্থাৎ নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী বছরই এলডিসি থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার দিন ঠিক আছে ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর। বিষয়টিকে আরও পিছিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছিল অন্তর্বর্তী সরকার। গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টার নতুন বিশেষ সহকারী (অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে) আনিসুজ্জামান চৌধুরী এক ব্রিফিংয়ে এই ভাবনার কথা বলেছিলেন। তবে গতকাল সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ২০২৬ সালেই বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণ হবে। এ জন্য যেসব চ্যালেঞ্জ আসবে, তা মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এই উত্তরণে বাংলাদেশের মর্যাদাও আরও বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে, গত পরশু প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাপ্রাপ্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর দায়িত্ব পাওয়া ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের সিদ্ধান্ত হয়েছিলো কিনা এবং এ বিষয়ে প্রস্তুতি কোন পর্যায়ে সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ পুনর্বিবেচনা করতে পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি করা হয়েছে। ইআরডি সচিব ও এফআইডি সচিব এ কমিটির সদস্য।
তিনি বলেন, ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হতে চাচ্ছি। সে বিষয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের বৈদেশিক নির্ভরতা বেড়ে গেছে ২০১০ সাল থেকে। কমে গেছে অভ্যন্তরীণ আয়ের উৎস। ৭ শতাংশের নিচে নেমে গেছে কর-জিডিপির হার। যদি আরও ঋণ নিতে হয়, আরও চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে।