রক্তি নদীতে দীর্ঘ নৌজট
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মার্চ ২০২৫, ৯:১৩:৫০ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের রক্তি নদীতে শত শত নৌকা আটকা পড়েছে। নাব্যতা সংকটের কারণে সৃষ্টি হয়েছে এ নৌজট। দীর্ঘ এ নৌজটে শ্রমিক, মালিকগন পড়েছেন ভোগান্তিতে।সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, জেলার বড় বালু মহাল যাদুকাটা থেকে বাল্কহেড, বড় নৌকা বোঝাই করে রক্তি নদী হয়ে শত শত নৌকা চলাচল করে। রক্তি নদী হয়ে সুরমা নদীতে প্রবেশ করে নৌকাগুলো দেশের বিভিন্ন জেলায় বালি পাথর জোগান দেন ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি রক্তি নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে কাটাখালি-নিয়ামতপুর-সুরমা নদী পর্যন্ত ২.৩ কিলোমিটার নৌজট লেগে আছে। কয়েক কোটি টাকার মালামাল নিয়ে আটকা নিয়ে ভোগান্তি পড়েছেন। এদিকে নৌকা লোড করা আরও অসংখ্য নৌকা নদী পথে বের হওয়ার অপেক্ষায় আছেন।
ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দেশে যাদুকাটা নদীর বালু ও পাথরের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই প্রতিদিন ব্যবসায়ীরা নৌকাযোগে লক্ষ লক্ষ টাকার বালু-পাথর নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করেন। রক্তি নদীতে নৌজটের কারণে আটকে থাকায় সময়মত মাল পৌঁছতে পারছে না। শ্রমিকের বেতন ও নৌকা ভাড়া দিতে না পারায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।নিয়ামতপুর এলাকায় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম জানান, সুনামগঞ্জ জেলার পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনা, কলমাকান্দা, মোহনগঞ্জসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থে মালামাল আনা নেওয়া হয়। এসব পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম নদীপথ। কিন্তু নদী খনন না করায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ী ও নৌ শ্রমিকদের।
রক্তি নদীতে আটকে থাকা নৌ চালক হারুন মিয়া জানান, গত কয়েকদিন ধরে বালু পাথরবাহী নৌকা নিয়ে রক্তি নদীতে আটকে আছি। প্রতি বছরই এ সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের। কিন্তু নদীর নাব্যতা সংকট দুর করার জন্য নদী খননের কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। এভাবে নৌজট সৃষ্টি হলে ব্যবসায়ীরা সুনামগঞ্জের বালু-পাথর মহাল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় দীর্ঘ নৌজটের সৃষ্টি হয়েছে। রক্তি নদীর নাব্যতা সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।