কমলগঞ্জে টিলাকেটে ঝুঁকিপূর্ণ বসতঘর, দুর্ঘটনার শঙ্কা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ মার্চ ২০২৫, ৫:৫৬:১৬ অপরাহ্ন
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: কমলগঞ্জে একে একে পাহাড়ি টিলা কেটে সাবাড় হচ্ছে। টিলা কেটে মাটি বিক্রি, বসতবাড়ি নির্মাণ, আবাদি জমি ও রাস্তাঘাট তৈরীসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মিত হচ্ছে। টিলাকাটা ছাড়াও কৃষিজমির উর্বর মাটি কাটার হিড়িক চলছে। তবে রাতের টিলা কাটা ও মাটি পরিবহনের কাজ বেশিই চলছে। উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের বরচেগ গ্রামে টিলা কেটে মাটি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এতে বেশ কয়েকটি বসতঘর মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। বিপর্যস্ত হচ্ছে পরিবেশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, রহিমপুর ইউনিয়নের পাহাড়ি টিলাঘেঁষা বরচেগ গ্রাম। গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ টিলা কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ করেছেন। আবার স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা টিলা কেটে লাল মাটি বিক্রি করছেন। টিলা কেটে সমতল অংশে কেউ বসতঘর তৈরি করছেন, কেউ রাস্তা নির্মাণ করছেন। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ টিলা কেটে লাল মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। এতে বসতঘর ধ্বসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় ১২টি পরিবার। স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াতির মিয়া নিজের ঘর নির্মাণের জন্য টিলার প্রায় ৪ শতক ভূমিতে মাটি কেটেছেন।
ওয়াতির মিয়া জানান, নিচে ঘর নির্মাণের জন্য তিনি টিলার সামান্য অংশ কেটেছেন। তবে এখন আর টিলা কাটা হচ্ছে না। আমি না বুঝে টিলার কিছু অংশ কেটেছি, আর কাটবো না। যেটুকু অংশ কেটেছি তা ভরাট করে দিব বলে তিনি জানান। ওয়াতির মিয়া টিলা নিজের বলে দাবি করছেন।
তবে স্থানীয়রা জানান, ওয়াতির মিয়ার টিলা থেকে মাটি কাটা হয়েছে। তিনি নতুন ঘর নির্মান করবেন। যেভাবে তিনি মাটি কেটেছেন তা ঠিক হয়নি। যেকোনো সময় মাটি ধ্বসে পড়তে পারে। ব্যক্তি মালিকানাধীন টিলা হলেও পরিবেশ আইন অমান্য করে কেউ টিলা কাটতে পারবে না। এই বিধান লঙ্ঘন করে ওয়াতির মিয়া তাঁর টিলা থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছেন এমন অভিযোগ উঠেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাখন চন্দ্র সুত্রধর বলেন, তহশিলদারকে সরেজমিনে পাঠিয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক মো. মাঈদুল ইসলাম বলেন, এসব বিষয়ে আমার জানা নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার সাথে কথা বলেন।