হবিগঞ্জে সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মার্চ ২০২৫, ৬:০২:৩৯ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবলে সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সড়ক সংস্কার করায় কাজ শেষ হতে না হতেই সড়কের কয়েকটি অংশের পিচ ঢালাই (কার্পেটিং) উঠে গেছে এবং হাতের সঙ্গে উঠে যাচ্ছে পিচ। এমন একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এলজিইডি কর্তৃপক্ষ তদারকি না করার কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এলজিইডি বলছে, কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে, কাজের মান খারাপ হলে পুনরায় করে দিবে ঠিকাদার। তবে ঠিকাদারের দাবি সঠিক নিয়মেই কাজ করা হয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের মিরপুর-মহাশয়ের সড়কে ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৭০০ মিটার সড়কের সংস্কার কাজটি দেয়া হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে জিওবি মেইনটেন্যান্স প্রকল্পের আওতায় খানাখন্দে ভরা প্রায় চার কিলোমিটার সড়কের সংস্কার অনুমোদন হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সড়ক সংস্কার করায় কাজ শেষ হতে না হতেই সড়কের কয়েকটি অংশের পিচ ঢালাই (কার্পেটিং) উঠে গেছে। পাথর, বিটুমিনসহ চলমান সংস্কারকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
তিতারকোনা গ্রামের বাসিন্দা ফরিদ মিয়া বলেন, কাজ খুবই নিম্নমানের হয়েছে। হাতের সঙ্গেই উঠে যাচ্ছে পিচ। রুটির মতো রোলিং হয়ে উঠে যাচ্ছে। ভারি গাড়ির চাকার সাথে উঠে যাচ্ছে।সড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নিম্নমানের বিটুমিন, বালি, পাথরের মিশ্রণে কাজ করায় যানবাহন চলাচলের সময় চাকার সঙ্গে অনেক জায়গার কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক বাহাদুর বলেন, অফিসের কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার কাজটি তদারকি করেন। যেভাবে কাজ ধরা আছে ঠিক সেভাবেই কাজটি করা হচ্ছে। কোনো অনিয়ম করা হয়নি। তবে কেউ শত্রুতা করে রাতের আধারে ওই জায়গায় কেরোসিন ফেলে দিয়ে আমার ক্ষতি করেছে।
বাহুবল এলজিইডির সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে জানতে হলে এক্সচেঞ্জ অফিসে যোগাযোগ করেন। অথচ এই নজরুল ইসলামই এই কাজের দায়িত্বরত কর্মকর্তা।
বাহুবল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মফিজুর রহমান বলেন, সংস্কার কাজে অনিয়ম হচ্ছে এমন খবর পেয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। পুনরায় কাজ করে দেবার জন্য ঠিকাদারকে বলেছি।