ভোলাগঞ্জ বাংকারে শ্রমিকের মৃত্যু
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ মার্চ ২০২৫, ৭:২৭:৪৮ অপরাহ্ন
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংরক্ষিত ভোলাগঞ্জ বাংকার থেকে চলছে হরিলুট। পাথর উত্তোলনে প্রায় বিলীনের পথে সংরক্ষিত এই এলাকা। এবার এই বাংকার থেকে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে কয়েছ আহমদ (৩৮) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সে নেত্রকোনা জেলার কালিয়াজুড়ি উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত মমরাজ মেম্বারের ছেলে। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের ছোট ভাই নুর ইসলাম জানান, গত ২দিন আগে তারা স্থানীয় নুর মিয়ার গর্তে কাজ করতে নেত্রকোনা থেকে দয়ারবাজার আসেন। সেখানে তারা ৩০ জনের একটি গ্রুপ মিলে গর্ত থেকে পাথর উত্তোলন করতেন। কাজের দ্বিতীয় দিন বুধবার বিকাল ৫টায় তাদের সবাই মিলে বাংকার থেকে পাথর উত্তোলন করতে যান। রাত সাড়ে ১২টায় গর্তে পাথর উত্তোলন করার সময় গর্তের পাড় ভেঙে একটি গাছ গর্তে পড়ে যায়। এসময় অন্যরা দৌড়ে সরে গেলেও কয়েছ বালুর মধ্যে আটকা পড়ে। তখন গাছ তার উপরে পড়লে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। পরে তার সাথে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে থানাপুলিশ লাশ তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে বাংকারের ৩৫৯ একর জায়গা সংরক্ষিত ছিল। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতন হলে শুরু হয় সংরক্ষিত এই এরিয়া থেকে লুটপাট। প্রথমে সকল গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুটপাট করা হয়। পরবর্তীতে বাংকারের জায়গা থেকে শুরু হয় পাথর উত্তোলন। গত প্রায় ৬ মাসে পাথর উত্তোলন করে বিলীনের পথে সংরক্ষিত এই বাংকার এলাকা।কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাশের আত্মীয় স্বজনরা মামলা করলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।