আল বিদা মাহে রমজান
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ মার্চ ২০২৫, ৩:০০:৫৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: শুরু হলো নাজাতের দশক। এই দশকই হচ্ছে রমজানের শেষ দশক। রাসূল সা. পুরো রমজান মাসকেই খুব গুরুত্ব দিতেন। তবে রমজানের শেষ দশককে রাসূল সা. সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন। এ দশকের কোনো এক বেজোড় রাতে রয়েছে লাইলাতুল ক্বদর। আল্লাহর রাসূল সা. এ দশকে ইতিকাফ করতেন। তাই প্রত্যেক মুসলমানের জন্য রমজানের শেষ দশক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রমজানের শেষ দশকের গুরুত্ব নিয়ে প্রসিদ্ধ একটি হাদিস রয়েছে। যা বুখারী, মুসলিম, তিরমিজী, আবু দাঊদ, নাসাঈ প্রত্যেকটি হাদিস সংকলনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ নিয়ে ইমাম বুখারী র. তার বুখারী শরীফের ১৮৮২ নম্বর হাদিসে হজরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ রমজানের শেষ দশক শুরু হলেই রাসূল সা. তাঁর কোমর শক্ত করে বেঁধে নিতেন। এই সময়ের রাতগুলো জেগে থাকতেন এবং তাঁর ঘরের লোকদের সজাগ করতেন’।
কাজেই আল্লাহর নবী সা. রমজানের শেষ দশদিনকে যে কতো গুরুত্ব দিতেন তা আমাদের কাছে একেবারে পরিষ্কার। এ দশকে নাজিল হয়েছিল বিশ্ব মানবতার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো সর্বশেষ হেদায়েতের গ্রন্থ আল কুরআনুল কারীম। আর যে রাতে তা নাজিল হয়েছিল সে রাতকে ক্বদরের রাত বলা হয়। ক্বদরের রাত হচ্ছে এ দশকের কোনো এক বেজোড় রাত। তবে কোন রাত তা স্পষ্ট করা হয়নি। ক্বদরের রাতের মর্যাদা হলো এটি হচ্ছে হাজার মাসের চেয়ে সেরা রাত। কুরআনের কারণেই ক্বদরের রাতের এতো মর্যাদা। কুরআন হচ্ছে নবী কারীম সা. এর সবচেয়ে বড়ো মুজিজা। কুরআন দিয়েই তিনি পুরো অন্ধকারে নিমজ্জিত একটি জাতিকে আলোর দিকে নিয়ে এসেছিলেন। আর তাই আমাদের উচিত এ দশক কে আল্লাহর ইবাদাতের জন্য গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করা। বিশেষ করে বেশি বেশি করে কুরআনের চর্চা করা। এ দশকে আল্লাহর নবী সা. সবচেয়ে বেশি আল্লাহর ইবাদাত করতেন। হজরত আয়েশা রা. বলেছেন, ‘ রমজানের শেষ দশকে রাসূল সা. এতো কষ্ট স্বীকার করতেন, যা অন্য সময় করতেন না। সুতরাং রমজানের শেষ দশক গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেই নবী সা. এ দশককে এতো গুরুত্ব দিতেন। তাই আমাদেরকেও এ দশকে গুরুত্ব দিয়ে ইবাতদাত বন্দেগী বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের কবুল করুন। আমীন!