বড়লেখায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেওয়াল নির্মাণের পাঁয়তারা
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মার্চ ২০২৫, ৭:১৪:১৭ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখায় জনসাধারণের চলাচলের সরকারি রাস্তার একাংশ দখল করে বাউন্ডারি দেওয়াল নির্মাণের পাঁয়তারা চালান প্রভাবশালী দুই সহোদর। প্রতিবেশিদের নিয়ে আহমেদ জামিল রাস্তা দখলে বাধা দিলে তারা তাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি আহমেদ জামিল জোরপূর্বক সরকারি রাস্তার ভূমি জবর-দখল চেষ্টাকারি সমছ উদ্দিন ও মইজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গত ১৬ মার্চ বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন।
আদালত আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রউপ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মামলার অভিযোগ ও ভুক্তভোগি এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর দক্ষিণ জামে মসজিদ ভায়া আহমেদ জামিল মিয়ার বাড়ির সামনের কালভার্ট পর্যন্ত রাস্তাটি প্রায় ৫ বছর আগে সরকারি অর্থায়নে ইটসলিং করা হয়। কালভার্টের সামনা থেকে ইটসলিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। রাস্তা সংলগ্ন বসতবাড়ি হওয়ায় গ্রামের মৃত আলা উদ্দিনের ছেলে প্রভাবশালী সমছ উদ্দিন ও মউজ উদ্দিন সরকারি এই রাস্তার প্রায় ১৫ ফুট জায়গা তাদের ভূমির মধ্যে ঢুকিয়ে সীমানা প্রাচীর (পাকা দেওয়াল) নির্মাণের পাঁয়তারা চালান। তারা রাস্তায় বাঁশ ও গাছ ফেলে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। গত ১০ মার্চ সকালে প্রতিবেশি আহমেদ জামিল, জাহাঙ্গীর আলম, আবু বক্কর প্রমুখ রাস্তা থেকে প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে নিতে বলেন এবং সরকারি রাস্তা তাদের ভূমির মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়াল নির্মাণে বাধা দেন। এতে সমছ উদ্দিন ও তার ভাই মইজ উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দেন। গ্রামের লোকজন জানান, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি এই রাস্তার বেশ কিছু অংশ জবর দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সম্প্রতি তারা রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি সাধনও করেছে।
এ ব্যাপারে জানতে মামলার বিবাদী সমছ উদ্দিন ও মইজ উদ্দিনের সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। ফোনে রিং বাজলেও তা রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বড়লেখা থানার ওসি আবুল কাশেম সরকার জানান, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক মামলাটি তদন্তের জন্য থানার এসআই আব্দুর রউপকে নিযুক্ত করেছেন। শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।