সরকারি চাকরিতে পদ খালি ১ লাখ ৭২ হাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মার্চ ২০২৫, ৮:১৪:৪৪ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে প্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার পদ শূন্য আছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব পদে নিয়োগ কার্যক্রম চালাতে আরও কত শূন্যপদ আছে সে বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানকে বিস্তারিত জানাতে বলেছেন। উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সরকারি চাকরিতে পদ শূন্য থাকার বিষয়টি বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে বলে তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে কেবিনেটে জানানো হয় প্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার পজিশন খালি আছে। চিফ অ্যাডভাইজার পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সেক্রেটারিকে বলেছেন আরও জানতে, আরও বিস্তারিত এটার ওপর জানাতে যে কতটা পোস্ট খালি আছে আর এটার ব্যাপারে কী কী মেজার নেয়া যায়, কীভাবে রিক্রুটমেন্ট করা যায় সেটা জানার জন্য তিনি তাকে বলেছেন।’
এছাড়া বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেট ভেঙে সরকারি ক্রয়-প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সংশোধিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অধ্যাদেশে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। নতুন করে সংশোধনীর ফলে শতভাগ দরপত্র হবে অনলাইনে। এছাড়া প্রাক্কলিত মূল্যের ১০ শতাংশ কম হলে দরপত্র প্রস্তাব বাতিলের যে বিধান ছিল, সেটাও আর থাকছে না। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘এটি নিয়ে অনেক ধরনের কনসার্ন ছিল। দেখা যাচ্ছিল, সিন্ডিকেট করে অনেক কোম্পানি, কয়েকটা জায়গা বা মন্ত্রণালয়ে দেখা যাচ্ছে, একই ধরনের দুই-তিনটা কোম্পানি সরকারের কাজগুলো পাচ্ছিলেন। এসব জায়গায় যেন আরও প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা যায়, সেজন্য যেসব কাজ করা প্রয়োজন ছিল, যে ব্যবস্থাপনা দরকার ছিল, সেগুলো করা হয়েছে। আজ উপদেষ্টা পরিষদে এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং অনুমোদন পায়।’
প্রেস সচিব বলেন, প্রাক্কলিত মূল্যের ১০ পার্সেন্টের কম হলে টেন্ডার প্রস্তাব বাতিলের যে বিধান, তা বাতিল করা হয়েছে। কাজ মূল্যায়নের যে ‘ম্যাট্রিক্স’, যেটার কারণে একই প্রতিষ্ঠান বারবার কাজ পেত, তাতে পরিবর্তন আনা হবে। এতে করে সিন্ডিকেট ভাঙবে।
পাবলিক প্রকিউরমেন্টে কারা কাজ পাচ্ছে এবং তাদের ‘স্ট্যাটাসটা’ কেমন, তা জানাতে সব মন্ত্রণালয়কে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন মন্তব্য করে প্রেস সচিব বলেন, ‘এটা একটা কম্পাইল হবে, এখানে কোনো সিন্ডিকেট আছে কিনা, তা দেখে নেয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘সরকারে মোট দরপত্রের ৬৫ শতাংশ অনলাইনে বা ই-টেন্ডারের মাধ্যমে হয়। সেটা এখন ১০০ ভাগে উন্নীত করা হবে। এটা সিদ্ধান্ত হয়েছে।’