আবাসিক এলাকায় পরিবেশ দূষণের প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে আবেদন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মার্চ ২০২৫, ৭:২১:২৮ অপরাহ্ন
সিলেট-তামাবিল সড়কের খাদিমপাড়া আবাসিক এলাকায় জনৈক ব্যক্তি অবৈধভাবে বালি, পাথর ও ইটের ব্যবসা পরিচালনা করায় এলাকার পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাসিন্দারা জানান, তারা দিনে রাতে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করেও রক্ষা পাচ্ছেন না। গরম চলে আসায় দরজা জানালা সারাক্ষণ বন্ধ রাখাও মুশকিল। জনস্বার্থে এর প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসি সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তর, সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পৃথকভাবে আবেদন করেছেন।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রতিনিয়ত ধূলা-বালির কারণে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে তারা আক্রান্ত হচ্ছেন। বৃদ্ধরা সর্দি-কাশিতে ভোগছেন। নবজাতক শিশুদের স্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে। পাথর ও ইট ভাঙ্গার মেশিন দিয়ে কংক্রিট ব্যবসা শুরু করায় মেশিনের বিকট শব্দে কান ঝালাপালা। তাছাড়া দিন রাত ভারী ট্রাকে ইট, বালি, পাথর পরিবহনের কারণে বাসিন্দারা ঘুমাতে পারেন না।
তামাবিল রোডের খাদিমপাড়ার সাফাওয়ান আহমদ চৌধুরী জানান, নূরুল ইসলাম নামে একজন ব্যবসায়ী তাদের পাশের একটি প্লট ভাড়া নিয়ে অবৈধভাবে আবাসিক এলাকায় বালি পাথর মওজুদ করে ক্রাশার মেশিন দিয়ে ইট ভেঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। যার ফলে এলাকাবাসী দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
গত ১৯ মার্চ এলাকাবাসীর পক্ষে সজল মিয়া, স্বপনা বেগম, সাওন আহমদ চৌধুরীসহ কয়েকজন পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রতিকার চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন।