শেষ মুহূর্তে জুতার বাজারে ক্রেতার ভিড়
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ মার্চ ২০২৫, ৯:৪৪:০৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: ঈদ বাজারের শেষ মুহূর্তে এসে চাহিদার তুঙ্গে রয়েছে জুতা। নামীদামি ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে সিলেটের স্থানীয় ব্রান্ড ও জুতার দোকানগুলোতে ব্যাপক সমাগম ঘটেছে ক্রেতার। পুরুষের তুলনায় নারী ও শিশুদের জুতার চাহিদা বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
তারা জানান, ঈদের আর কয়েকদিন বাকি থাকায় ক্রেতারা শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা করতে এসেছেন। ঈদের লম্বা ছুটি থাকায় অনেকেই সিলেটের বাইরে এবার ঈদ করবেন তাই সাতাশ রোজার আগেই অন্যান্য বারের চেয়ে এবার জুতার বাজার জমে উঠেছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এবার জুতাসহ ঈদে প্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়েছে।
জুতার দোকান ঘুরে দেখা যায় চামড়া, রেক্সিন, পলিফাইবার সহ বিভিন্ন জুতা রয়েছে। তুলনামূলক ছোটোদের জুতার দাম কিছুটা বেশি। ৩শ টাকা থেকে শুরু করে কয়েক হাজার টাকার মধ্যে জুতা রয়েছে এসব দোকানে।
পায়ে পরে, কিছুটা হেঁটে, টিপে দেখে তারপর মনমতো বর্ণিল জুতাজোড়া কিনছেন ক্রেতারা।
সৌন্দর্য্য ও স্বাচ্ছন্দ্য দুটিই পেতে দৃষ্টিনন্দন ও নতুন নকশার জুতা খুঁজছেন সবাই। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে মাপমতো জুতা কেনা যায় কি না সে চেষ্টা অনেকের মধ্যে।
বিভিন্ন শপিং সেন্টার ও মার্কেটে এবং দেশি-বিদেশি জুতার বিখ্যাত ব্র্যান্ডের আউটলেটগুলো ঈদ বাজারে ক্রেতাদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এছাড়া সিলেটের স্থানীয় ব্র্যান্ড জনতা, পায়ে পায়েসহ জুতার দোকানগুলোতে অনেকটা সিরিয়াল দিয়ে ক্রেতাদের জুতা কিনতে দেখা গেছে।
জুতার ব্র্যান্ড এপেক্সের একজন জ্যেষ্ঠ বিক্রয়কর্মী জানান, আগে পোশাক কেনার পর ঈদের আগে আগে মানুষ জুতা কিনত। এখন কেনাকাটার এই ধরন পাল্টেছে। রমজানের প্রথম সপ্তাহ থেকেই সরগরম হয়ে ওঠে জুতার বাজার।
জনতা সু’র ব্লু ওয়াটার শাখার ম্যানেজার ইমরান হোসাইন জানান, স্থানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে জনতা সিলেটবাসীর কাছে সমাদৃত ও আস্থার প্রতীক। দীর্ঘদিন থেকে তারা মানে ও দামে ক্রেতার চাহিদার শীর্ষে অবস্থান করেছেন। তাই সিলেটের মানুষ ঈদ বাজারে পছন্দের শুরুতে থাকে জনতার জুতা।
ঈদের জুতা বলতে ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ চামড়ার জুতা। এবার ঈদ এসেছে গরমের সময়। সামনে আছে বর্ষাকাল। ফলে গ্রীষ্ম-বর্ষার কথা মাথায় রাখছেন ক্রেতারা। পছন্দের জুতা বেছে নিতে এ কারণে অনেকে এবার চামড়ার তৈরি পানিরোধী (ওয়াটারপ্রুফ) জুতা খুঁজছেন। ক্রেতাদের এ চাহিদা ভালোই মেটাচ্ছে জুতাশিল্পের বড় ব্র্যান্ডগুলো। আবার একই কারণে এবার চামড়াবিহীন জুতা বা নন-লেদার ফুটওয়্যারের চাহিদাও বেশ ভালো। বিক্রেতারা জানান, এসব জুতা একই সঙ্গে ফ্যাশনেবল, টেকসই এবং সাশ্রয়ী।
বাটা, বে, এপেক্স, স্টেপ, ওরিয়নসহ জুতার অন্য দোকানগুলোয় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মেমোরি ফোম, অর্থোলাইট কুশনিং, লাইটওয়েট ফিচার, লাইফ অ্যান্ট্রিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যসহ ট্রেন্ডি সব জুতা নিয়ে এসেছে ব্র্যান্ডগুলো।
স্টেপের একটি দোকানে কথা হয় আমিনুল ইসলাম নামে একজনের সাথে। নিজের জন্য বেল্টছাড়া কালো রঙের এক জোড়া জুতা কিনেছেন তিনি। বললেন, সাদা পাঞ্জাবি পরে ঈদের নামাজে যাওয়ার সময় পরার জন্য বেশ মানানসই হবে জুতা জোড়া। পরিবারের অন্যরাও আরামদায়ক ও স্টাইলিশ জুতা কিনেছেন। জুতা রয়েছে আড়ং, লা রিভের মতো ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল পণ্যের শোরুমেও। মেয়েদের জুতায় তারা এনেছে কারচুপির কাজ করা নজরকাড়া নকশা। হালকা-পাতলা ও আরামদায়ক এসব জুতার প্রতি ক্রেতাদের বেশ আগ্রহ রয়েছে।