শ্রীমঙ্গলের পাকিং নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ এপ্রিল ২০২৫, ৫:১৪:৩৮ অপরাহ্ন
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের চাঁদ রাতে গদার বাজারে টমটম পাকিং নিয়ে সাবেক মেয়রের সাথে দু’পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলায় হয়েছে। সোমবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে এক পক্ষের ৩৮ জনের নামাল্লেখ ও ২৮৫ কে অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয় এবং মঙ্গলবার রাতে অপর মামলাটি করেন পরিবহন শ্রমিক মো: সাগর ভঁইয়া এর মা আকলিমা বেগম সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মহসিন মিয়া মধুকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নামে ও ৩০/৪০ অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করা হয় ।
শ্রীমঙ্গল থানার এসআই অলক বিহারী গুণ বাদী হয়ে কামরুল হাসান হৃদয়কে প্রধান আসামী করে পুলিশের উপর হামলা, কাজে বাধা ও গাড়ী ভাংচুর করে ক্ষতি সাধনের অভিযোগ এবং আকলিমা বেগম তার ছেলে সাগর গাড়ী ভাংচুর, তাকে আহত করে প্রাণে মারার চেষ্ঠা ও গাড়ীতে রক্ষিত ২লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশের মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, আনোয়ার মিয়া প্রকাশ আনার (সাবেক মেম্বার আনার মিয়া), হান্নান মিয়া, মোশাহিদ মিয়া, শরফু মিয়া, মুকিত মিয়া, দেলোয়ার হোসেন কালু, আজিজুর রহমান, তাজুল হক, সৌরভ মিয়া, সালামুন মিয়া, সাজু মিয়া, সাজ্জাদ, সোহান মিয়া, হেলাল মিয়া, সত্তার মিয়া, খালেদুর রহমান, করিম মিয়া, নজরুল হক, আকমল হোসেন রনি, জারু মিয়া, শাহ আলম মিয়া, রফিকুল, রউফ মিয়া, সজল মিয়া, শিপন মিয়া, আলাল মিয়া, আমান মিয়া, ইমরান মিয়া, জাকির মিয়া, সেলিম মিয়া, হাসমত মিয়া, শাহেন আলী, এন্তাজুল হক, সিদ্দিক মিয়া, আবু রায়হান, হোসেন আলী, রাজন মিয়া আর অজ্ঞাতনামা ২৮০/২৮৫ জন।
আকলিমা বেগম এর মামলার আসামীরা হলেন, মহসিন মিয়া মুধু ছাড়াও তার পুত্র মুরাদ হোসেন সুমন, আপন ভাই জরিপ মিয়া, তার ছেলে মোশারফ হোসেন রাজ, আকাশ মিয়া, মেয়রে চাচাতো ভাই সেলিম মিয়া, আলকাছ মিয়া (কমিশনার), শাহদাত হোসেন আকাশ,আব্দুল জব্বার আজাদ (কমিশনার), রাব্বি হোসেন, আব্দুল শুক্কর (সাংবাদিক), রুমেল মিয়া, শাহিন আহমদ, ইসমাইল চৌধুরী, বদরুজ্জামান রুহেল খাঁনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০/৪০ জন।
এঘটনায় সংঘর্ষের রাতে পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে ৫৬ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। রাত ১১ টা থেকে বোর রাত ২টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ চলাকালে মার্কেট করতে আসা লোকজন ও পথচারীসহ উভয় প্রায় অর্ধশত আহত হয় বলে জানাযায়।
এঘটনায় ১৫ টি টমটম, ১ টি প্রাইভেট কার ভাংচুর করার অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক মেয়র মহসিন মিয়া মধুসহ তার পক্ষের ১৩ এবং উপর পক্ষের কামরুল হাসান হৃদয়সহ মোট ১৪ জনকে আটক করে সেনাবাহিনী। পরদিন সোমবার আটককৃত সবাইকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
এসময় ওই মেয়রের বাসায় সেনাবাহিনী তল্লাসী চালিয়ে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে।
ওসি (তদন্ত) মোবারক সোহেন খান জানান, দু’পক্ষে সংঘর্ষের পর টমটম চালকরা ভাড়াউড়া আমাদের খামার বাড়ী এলাকায় অবস্থান নেয়, তখন পুলিশ তাদের স্থান ত্যাগ ও শান্তিপুর্ণ অবস্থান বজায় রাখার অনুরোধ করেন। এসময় পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করে কামরুল হাসান হৃদয়ের নেতৃত্বে পুলিশ উপর হামলা, সরকারী কাজে বাধা ও পুলিশের ব্যবহৃত গাড়ী ভাংচুর করা হয়।