মোবাইল না দেয়ায় কিশোরীর আত্মহত্যা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ৯:০৫:০৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট নগরীতে টেলিফোনের তারে ঝুলন্ত এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৬ এপ্রিল) ভোরে নগরীর শেখঘাট সরকারি কলোনি সংলগ্ন একটি বাসার গলিতে গলায় টেলিফোনের তার পেচানো অবস্থায় ওই কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার নাম লাবিবা রহমান তানহা (১৩)। সে নগরীর শেখঘাট খুলিয়াটুলা নিলীমা ৭নং বাসার মৃত মুজিবুর রহমানের মেয়ে ও একটি মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।
মোবাইল ফোন ব্যবহারে বাধা দেওয়ায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে লাবিবাকে শাসন করেন তার মা। এ কারণে সে অভিমান করে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। রাতে ঘরে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার পরিবার। পরে ভোরে বাসার পাশের গলির এক কোনে গলায় টেলিফোনের তার ঝুলানো অবস্থায় তার নিথর দেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. জিয়াউল হক বলেন, কিশোরী লাবিবা রহমান তানহার বাবা ২০১৯ সালে মারা যান। তার বড় বোন দেশের বাইরে থাকে। সে বাসায় মা ও আরেক বড়বোনের সাথে বাস করতো। ৩ বোনের মধ্যে সবার ছোট লাবিবার সম্প্রতি মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত আসক্তি দেখা দেয়। এ নিয়ে শনিবার রাতে তাকে বকাঝকা করেন মা। তখন মায়ের সঙ্গে অভিমান করে সে বাথরুমে প্রবেশ করে। মা ক্ষোভে তাকে বাথরুমে আটকে রেখে বাইরে থেকে লক করে রাখেন। পরে তার বড় বোন বাথরুমের দরজা খুলতেই সে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে সে আত্মহত্যা করেছে।
কিশোরীর পরিবারের বরাতে কোতোয়ালী থানার ওসি বলেন, লাবিবা অনেক সময় এভাবে রাগ করে বেরিয়ে বান্ধবীর বাসায় চলে যেতো। খোঁজ নিতে গেলে তাকে বলা হতো সে আসেনি, যাতে টেনশনে রাখতে পারে। এ কারণে তাকে খোঁজ করতে যাননি মা। সকালে তার মরদেহ বাসার গলির টেলিফোনের তারে ঝুলতে দেখেন প্রতিবেশিরা। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তে শেষে শনিবার বিকেলে কিশোরীর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।