ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর-লুটপাট : আটক ১৭
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ৯:৩৪:৩৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: ফিলিস্তিনে ইসরাইলী গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার দিনভর সিলেটে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটে জড়িতদের গ্রেফতারে অ্যাকশনে নেমেছে পুলিশ। গত ২৪ ঘন্টায় ভাংচুর ও লুটপাটে জড়িত ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিডিও ও ছবি দেখে শনাক্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে দৈনিক জালালাবাদ জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছেন, সোমবার ফিলিস্তিনে ইসরাইলী গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেট নগরীতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে বাটা, কেএফসি, ইউনিমার্টসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো, নগরীর কাজীটুলা এলাকার রাজা মিয়ার ছেলে মো. রাজন (১৯), একই এলাকার আরব আলীর ছেলে ইমন (১৯), দ্বীন ইসলামের ছেলে রাকিব (১৯), সাদ আহমদের ছেলে মিজান আহমদ (৩০), সওদাগরটুলা এলাকার মৃত আবুল বাশার মিয়ার ছেলে আব্দুল মোতালেব (৩৫), গোয়াইটুলা এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে সাব্বির আহমদ (১৯), কোম্পানীগঞ্জের ফরিদ মিয়ার ছেলে জুনাইদ আহমদ (১৯), মিরের ময়দান এলাকার মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে রবিন মিয়া (২০), শাহী ঈদগাহ এলাকার মহছন আহমদের ছেলে মোস্তাকিন আহমদ তুহিন (১৯), দরগাহ গেইট এলাকার আব্দুল ছাত্তারের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩০), শেখঘাট এলাকার শামীম আহমদের ছেলে রিয়াদ (২৪), বালুচর নতুনবাজার এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে তুহিন (২৪), বটেশ্বর বাজারের সেলিম রেজার ছেলে আল নাফিউ (১৯), নোয়াখালীর চাদমিল থানার পশ্চিম নাহার কিল গ্রামের সৈয়দ আলতাফ মানিকের ছেলে সৈয়দ আল আমিন তুষার (২৯), বিয়ানীবাজার উপজেলার গোবিন্দ্রশ্রী গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে সোহেল খান (৪২), সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সিদ্দরপাশা গ্রামের শাহ নূর মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া রুপন (৩৫) ও বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া গ্রামের মৃত নন্দন মালাকারের ছেলে অরুন মালাকার (৩৫)।
এদিকে, লুট করা জুতা বিক্রির জন্য ফেসবুকে দেয়া হচ্ছে বিজ্ঞাপন। বিষয়টি নজরে আসে পুলিশের। পরে ক্রেতা সেজে ওই পোস্টদাতাকে জুতাসহ গ্রেফতার করে এসএমপির কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে এসএমপির কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মো. জিয়াউল হক বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ ও ছবি পর্যালোচনা করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর-লুটপাটে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনেও পুলিশের নজরদারি চলছে। এছাড়া হামলাকারীর পরিচয় কারো জানা থাকলে প্রমাণসহ কোতোয়ালী থানার ওসির মোবাইল-ওয়াটসআপ নাম্বারে প্রেরণের জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।