পুলিশের হাত থেকে আলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ১০ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ৯:০৮:৪৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের ওসমানীনগরে পুলিশের হাত থেকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেওয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আকছার আহমদকে গ্রেফতারে এখনও ব্যর্থ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩১ মার্চ বিকেলে, তবে ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আকছার আহমদের সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুল আজিম ও আজমল খাঁনসহ কয়েকজনের দীর্ঘদিনের জায়গা-সম্পর্কিত বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে।
ঘটনার দিন ইসলামপুর হাওরের পাশে কাজ করার সময় আকছার আহমদের সঙ্গে পূর্ব বিরোধের জেরে কথাকাটাকাটি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে আজিমপন্থীরা আকছারকে আটক করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে গ্রেফতার করে এবং হাতকড়া পরায়।তবে এ সময় আকছার আহমদের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় জনতা পুলিশের সঙ্গে বাগবিত-ায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়, যেখানে দেশীয় অস্ত্র ব্যবহৃত হয় এবং পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করা হয়। সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্যসহ সাতজন আহত হন। এ সুযোগে পুলিশের হেফাজত থেকে আকছার আহমদকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরে ঘটনাস্থলে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি হাতকড়া পাওয়া গেলেও ওই আওয়ামী লীগ নেতা এখনও পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ থানায় সরকারি কাজে বাধা, হামলা এবং আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ১৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। তবে ঘটনার ১০ দিন পার হলেও কাউকেই গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোনায়েম মিয়া। তিনি বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
এদিকে আকছার আহমদের ভাই জয়নুল আবেদিন জেনেল বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে বারবার পুলিশ আনা হয়। আমার ভাইকে আটক করে মারধর করা হয়েছে।” তবে ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তিনি মুখ খুলতে চাননি।
অপরদিকে মামলার বাদী আব্দুল আজিম বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালান আকছার আহমদ। আমরা পুলিশে খবর দিলে তাকেই আটক করা হয়।” উল্লেখ্য, প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশের হেফাজত থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা ও আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।