চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে পার্বত্য অঞ্চলে বিশেষ ছুটি ঘোষণা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০১:০৩ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, চৈত্র সংক্রান্তি, ১৩ এপ্রিল, পার্বত্যবাসীর জন্য বিশেষ ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি এই ছুটির জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, এটি পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত।
গতকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে বিসিএস ফরেন সার্ভিস একাডেমি অডিটোরিয়ামে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে নববর্ষ উৎসব সংক্রান্ত একটি প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, বিজু উৎসব চাকমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান আনন্দ-উৎসব, যা পার্বত্য অঞ্চলের রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ব্যাপকভাবে উদযাপিত হচ্ছে।
তিনি জানান, বিজু উৎসব উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করছে। ইতোমধ্যে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ৬০০ মেট্রিক টন চাল ও ৪৫০ মেট্রিক টন গম বিতরণ করা হয়েছে।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, বিজু উৎসব বাংলা বছরের শেষ দুই দিন ও নববর্ষের দিন পালিত হয়। এ দিন ভোরের আগে ছেলে-মেয়ে ফুল সংগ্রহে বের হয়ে বুদ্ধকে পূজা করার পর, বাকি ফুল দিয়ে ঘরবাড়ি সাজানো হয়। ১৩ এপ্রিল, চৈত্র মাসের শেষ দিন, মূল বিজু উৎসব পালিত হয়, যা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষদের জন্য আনন্দের একটি বিশেষ দিন। তিনি বলেন, “পাহাড়ি-বাঙালি আমরা সবাই ভাই ভাই হিসেবে কাজ করতে চাই। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন আমাদের এক করেছে।” সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে ঢাকা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করছে, যাতে দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়।
প্রেস কনফারেন্সে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের সহকারী প্রেস সেক্রেটারি সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।