খাসিয়ার গুলীতে বাংলাদেশী নিহত
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ এপ্রিল ২০২৫, ৯:৫৭:৫৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্তের ভারতের অভ্যন্তরে খাসিয়ার গুলীতে এক বাংলাদেশী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে মোকামছড়া সীমান্তের বিপরীতে ভারতের ৭ কিলোমিটার অভ্যন্তরে মেঘালয় রাজ্যের নথরাই পুঞ্জি এলাকায় সুপারি আনতে গিয়ে নিহত হন কুটি মিয়া (৫০)। তিনি দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া মোকামছড়া গ্রামের মৃত মনিরুল্লার ছেলে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশের সাথে কথা বলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে দৈনিক জালালাবাদকে জানিয়েছেন বিজিবির সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির। তবে এসময় নিরাপদে পালিয়ে এসেছে একই গ্রামের ৫ জন।
বিজিবি ও পুলিশ জানিয়েছে, পেকপাড়া মোকামছড়া গ্রামের ৬ জন গোপনে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের প্রায় ৭ কিলোমিটার ভেতরে সুপারী আনতে যায়। ৫ জন নিরাপদে ফিরলেও কুটি মিয়া নিখোঁজ হন। স্থানীয়রা খাসিয়াদের গুলিতে কুটি মিয়া নিহত হয়েছে বলে দাবি করলেও তৎক্ষণাৎ সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে শুক্রবার বিকেলে কুটি মিয়া নিহতের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে দোয়ারাবাজার সীমান্তের পেকপাড়া মোকামছড়া গ্রামের কুটি মিয়াসহ ৬ জন পেকপাড়া বিওপির সীমান্ত পিলার ১২৩০/২-এস বিপরীতে ভারতের ৭ কিলোমিটার ভেতরে নথরাই পুঞ্জির সুপারি বাগানে সুপারি আনতে গিয়েছিল। এ সময় বাগানের মালিক ভারতীয় খাসিয়ারা তাদেরকে ধাওয়া দিলে ৫ জন বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। কিন্তু কুটি মিয়া সেখানেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পালিয়ে আসা ৫ জন বিকেলে বিষয়টি কুটি মিয়ার বাড়িতে জানায়। পরে কুটি মিয়ার আত্মীয়-স্বজন নথরাই এলাকায় স্থানীয় পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে তার মরদেহ শনাক্ত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবির বৃহস্পতিবার রাতেই কুটি মিয়ার বাড়িতে যায়।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি মো. জাহিদুল হক বলেন, পেকপাড়া মোকামছড়া গ্রামের কুটি মিয়াসহ কয়েকজন ভারতের ভেতরে সুপারি আনতে গিয়েছিল। এর মধ্যে সবাই ফিরে আসলেও কুটি মিয়া নাকি খাসিয়াদের গুলিতে মারা গেছেন। আমরা বিজিবির মাধ্যমে সেখানের পুলিশের সাথে কথা বলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছি।
এ ব্যপারে বিজিবির সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের প্রায় ৭ কিলোমিটার ভেতরে। সবাই সুপারি চুরি করতে গিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে ভারতের বিএসএফের ১১০ ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্টের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি। পরবর্তীতে ভারতীয় পুলিশের সাথে কথা বলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ বিষয়ে দুই দেশের পুলিশ কথা বলছে। ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি চলছে।