১ বছরেও শেষ হয়নি এরালিয়া-ছোয়াপুর রাস্তার কাজ : ভোগান্তিতে চার গ্রামের বাসিন্দা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ৮:৫৬:৪৫ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের এরালিয়া বাজার হতে ছোয়াপুর পর্যন্ত প্রায় ১ কি: মিঃ রাস্তার কাজ প্রায় এক বছরেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ৪ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
এলজিইডি সুত্রে জানা গেছে, কাঠইর ইউনিয়নের তেতুইয়া, এরালিয়া, ছোয়াপুর, তেরহালসহ মোট চার গ্রামের চলাচলের সুবিধার কথা ভেবে এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। প্রায় ২ কোটি ৮০ লাখ টাকার চুক্তিমূল্যে রাস্তা নির্মাণের দায়িত্ব পায় ইভা বিল্ডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ২০২৪ সালের শুরুর দিকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। ২০২৫ সালের জুন মাসে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে রাস্তার উভয়পাশে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। মূল রাস্তার কাজে নেই সিসি, আরসিসি ঢালাইর কাজ। রাস্তার কাজের প্রায় এক বছর হতে চললেও এখনও বিট বালুই ফেলা হয়নি। মূল রাস্তায় খানাখন্দক ও বৃষ্টি হওয়ার কারণে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় গর্ত হয়ে পানি জমা হয়ে আছে। কোন ধরনের যানবাহনসহ পথচারী চলাচলে প্রায় বন্ধ রয়েছে।
এ অবস্থায় দ্রুত কাজ শেষ করার দাবী স্থানীয় বাসিন্দাদের। দ্রুত নির্মাণ না হলে বৈশাখ মাসের সোনালী ফসল গোলায় তুলতে কৃষকদের নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হবে।
কাঠইর ইউপি ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই রাস্তার ঠিক না হলে আমরা বৈশাখী ধান গোলায় তুলতে পারব না। চার গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র চলার রাস্তাই এটি। দ্রুত রাস্তাটি শেষ করার দাবি জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা মোশাহিদ মিয়া বলেন, দীর্ঘ ১ বছর ধরে কাজ বন্ধ থাকার ফলে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে এই এলাকার পাঁচটি স্কুল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এছাড়া কৃষকেরা গোলায় ধান তুলতে এ রাস্তা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। তাই দ্রুত রাস্তাটির নির্মানকাজ শেষ করার দাবি তুলেন তিনি।
ইভা বিল্ডার্সের প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন বলেন, আমি ইভা বিল্ডার্সের কাছ থেকে চুক্তিতে কাজটি এনেছি। রাস্তার কাজের মূল বরাদ্দ ২ কোটি ৮০ লক্ষ হলেও মাত্র ১৮ লক্ষ টাকা বিল পেয়েছি। রাস্তার দু পাশে গার্ড ওয়াল নির্মাণ করেছি। বিট বালু না পাওয়ায় মূল রাস্তার কাজ শুরু করতে পারছি না। এই সপ্তাহের মধ্যে বিট বালু ফেলে সিসি ঢালাই শুরু করব। আশা করছি মেয়াদের আগে কাজ শেষ করতে পারব।
এলজিইডি সদর উপজেলা প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলেছি। তারা আজকালের মধ্যেই রাস্তা নির্মাণের কাজটি শুরু করবে।