চা শ্রমিকদের ভূমির অধিকার দেয়ার আহবান
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৯:৫৫:১৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সিলেট অ্যাওয়ারনেস ও এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা থেকে চা শ্রমিকদের সকল সমস্যা, বিশেষ করে অধিকার দেয়ার জোর দাবি জানানো হয়েছে।
বুধবার সকালে সিলেটের একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে শুরু হওয়া এই সভায় অংশ নেন সিলেটের বিভিন্ন এনজিও, সামাজিক সংগঠন, সাংবাদিকরা ও চা-শ্রমিকরা। সভার আয়োজন করে এথিক কমিউনিটি ডেভেলাপমেন্ট অর্গানাইজেশন (একডো)। সভায় একডোর একটি গবেষণা প্রতিবেদনও উপস্থাপন করা হয়।
এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দোলদোলি, কেওয়াছেরা এবং হিলুয়াছড়া তিনটি চা বাগানে গবেষণা চালানো হয়। গবেষণা থেকে জানা যায়, ৬৫% শ্রমিকের মাসিক আয় ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকা। ৬৪% শমিক নিয়মিত মজুরি পান না। ৯৭% শ্রমিক কল্যাণ তহবিল সম্পর্কে অবগত না। শ্রমিকদের ৮২% বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে। ৬৪% নিরক্ষর ছিলেন মাত্র ৩৩% প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্পন্ন করেছেন। মাত্র ৩% মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট সম্পন্ন করেছেন। ৪২% শ্রমিক জানিয়েছেন যে তাদের সন্তানরা প্রায়শই স্কুলে যেতে পারে না।
এছাড়া বাগানগুলিতে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা প্রায় নেই বললেই চলে। চা বাগানগুলিতে শিশু যতেœর সুবিধা পাওয়া যায় না। কর্মক্ষেত্রেরও নিরাপত্তা সন্তোষজনক না। মাত্র ১০% ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের কাছে গিয়েছিলেন, ৮০% আইন সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না। ৫১% উল্লেখ করেছেন যে তাদের আইনি অধিকার সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই।
সংস্থার নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহ এর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবীর, সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সিলেট সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (কো-অর্ডিনেটর) ডা. আবু সালমান মো: সাইফুল ইসলাম ও দৈনিক জালালাবাদের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আহবাব মোস্তফা খান প্রমুখ।
অ্যাডভোকেসি সভার মূল উদ্দেশ্য হল নীতিগত স্তরকে প্রভাবিত করা, যা প্রকল্পটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করবে। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান অংশগ্রহনকারীরা।