কেমুসাসের সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৭:৪৮:০৫ অপরাহ্ন
অল্প কথায় হৃদয়ের গভীরতম অনুভূতি প্রকাশ করে কবিতা। কবিতা যেমন কোমলতার কথা বলে, ভালোবাসার গল্প শোনায় তেমনি অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ভাব প্রকাশ করতেও সাহিত্যে কবিতার চেয়ে শক্তিশালী আর কোনো মাধ্যম নেই। মাঠে-ময়দানে যেমন যুদ্ধ হয় তেমনি সাহিত্যের ময়দানেও কবিতার মাধ্যমে যুদ্ধ করা যায়। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম যে সময় বৃটিশদের বিরুদ্ধে কবিতাযুদ্ধ চালিয়েছিলেন সে সময় মিডিয়া শক্তিশালী ছিল না, তবুও তাঁকে কারাবরণ করতে হয়েছিল। সুতরাং প্রতিবাদের শক্তিশালী একটি মাধ্যম হলো কবিতা। ইসরাইলী গণহত্যার প্রতিবাদে কেমুসাস সাহিত্য আসরে নবীন-প্রবীণ কবিরা যে সকল ছড়া ও কবিতা পাঠ করছেন তা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ১২২৮তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে আলোচনাকালে আলোচকগণ উপরোক্ত কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর দরগাহ গেইটস্থ কেমুসাসের সাহিত্য আসরকক্ষে সংসদের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রভাষক-ছড়াকার কামরুল আলমের সভাপতিত্বে ও ছাড়াকার আব্দুস সামাদের সঞ্চালনায় আসরে পঠিত লেখার উপর আলোচনা করেন লেখক-গবেষক শামসীর হারুনুর রশীদ, কবি মাহফুজ জোহা, কবি সাজন আহমদ সাজু ও ছড়াকার কবির আশরাফ। সাহিত্য আসরে লেখাপাঠে অংশ নেন আতাউর রহমান বঙ্গী, কামাল আহমদ, সেলিম আহমদ, মো. জসিম উদ্দিন রাহমানী, মুহা. হুসাইন হামিদ, মো. সোয়েব আহমদ, মো. দিদার আহমদ প্রমুখ। আসরে গান পরিবেশন করেন কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল, মো. বাহাউদ্দিন বাহার ও লিলু মিয়া। আসরের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মুহা. হুসাইন হামিদ। সেরা লেখক মনোনীত হন আতাউর রহমান বঙ্গী। বিজ্ঞপ্তি