শাবিপ্রবির উন্নয়ন প্রকল্পে গুণগত মানে কোনো আপস নয়: উপ-উপাচার্য
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৭:২৬:২৬ অপরাহ্ন
শাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ‘অধিকতর উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় প্রকল্প বাস্তবায়নে গুণগত মান রক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম। তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো রকম আপসের সুযোগ নেই। প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা ও মান বজায় রাখতে হবে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিনিধি দল, যারা এর আগে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং তাদের পর্যবেক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সামনে উপস্থাপন করেন।
সভায় প্রো-ভিসি ড. সাজেদুল করিম বলেন, বিল্ডিংয়ের কাজ থেকে শুরু করে ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রীর মান পর্যন্ত কোনো কিছুতেই ছাড় দেওয়া হবে না। সাইট ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়মিত মাঠে উপস্থিত থাকতে হবে। যেকোনো সময় আমি নিজেই পরিদর্শনে যেতে পারি তখন যেন কেউ অনুপস্থিত না থাকেন। তিনি আরও বলেন, “রড, সিমেন্ট ও বালির মতো মূল উপকরণে মানের কোনো ঘাটতি চলবে না। সময়মতো কাজ শেষ করার পাশাপাশি গুণগত মান অক্ষুন্ন রাখতে হবে। আমাদের লক্ষ্য ভবনগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা।”
ঠিকাদারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাদের কাজ যেন ভবিষ্যতে আপনাদের গর্বের বিষয় হয়। মানুষ যেন বলতে পারে এই উন্নয়নকাজ আপনারাই করেছেন। আগামী জুন মাসের মধ্যে কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই।”
সভায় ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সুরাইয়া ফারহানা, সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আসিফ সিদ্দিক, সহকারী পরিচালক তানভীর মোর্শেদ ও মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) জয়নাল ইসলাম চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিকাশ চন্দ্র দাস, উপ-রেজিস্ট্রার শাহীন আহমদ চৌধুরী এবং নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তানজিম শামস প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বর্তমানে শাবিপ্রবিতে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০তলা বিশিষ্ট ৪টি শিক্ষাভবন, একটি ছাত্র হল, একটি ছাত্রী হল, একটি প্রশাসনিক ভবন, ৪তলা বিশিষ্ট একটি মসজিদ, ১১তলা বিশিষ্ট একটি শিক্ষক-কর্মকর্তা আবাসিক ভবন, ২তলা বিশিষ্ট একটি সেন্ট্রাল ওয়ার্কশপ, এক কিলোমিটার রাস্তায় ২টি স্প্যান ব্রিজ এবং একটি পাওয়ার স্টেশনের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।