অনুমোদনহীন চিঠির পর আরও কঠোর ট্রাম্প প্রশাসন : হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭:৩২:২২ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : ট্রাম্প প্রশাসন সুদূরপ্রসারী কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ আরও বাড়িয়েছে বলে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে। হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রকাশিত এক খবর অনুযায়ী, এসব দাবিসংবলিত একটি চিঠি সরকারি কর্মকর্তারা অনুমোদন ছাড়াই তাদের কাছে পাঠিয়েছেন।
গত শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, হার্ভার্ড ১১ এপ্রিল এ চিঠি পেয়েছে। কিন্তু সেটি ট্রাম্প প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুমোদন বা ছাড়পত্র দেওয়ার আগেই পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছেন এমন কিছু সূত্রের বরাতে পত্রিকাটি এ খবর প্রকাশ করেছে। তবে সূত্রের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
চিঠি পাওয়ার তিন দিন পর হার্ভার্ড দাবিগুলো নাকচ করে দিয়ে বলেছে, এসব দাবি মেনে নেওয়ার অর্থ হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, নিয়োগ ও শিক্ষাদানবিষয়ক নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে তুলে দেওয়া। হার্ভার্ডের এমন অবস্থান গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দেয়, তারা বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন (২৩০ কোটি) ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির কর-অব্যাহতির মর্যাদা ও বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার সক্ষমতা বাতিল করার হুমকি দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির বৈদেশিক যোগাযোগ, শিক্ষার্থী ও অনুষদগুলোর বিষয়েও তথ্য চাওয়া হয় ওই চিঠিতে।
হার্ভার্ডের একজন মুখপাত্র বলেন, যদি ধরেও নেওয়া হয়, প্রশাসন এখন অনধিকারচর্চামূলক দাবিগুলো ফিরিয়ে নিতে চায়; তবু সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তাদের যে কার্যকলাপ, তা দেখে মনে হচ্ছে, তারা বরং সেই দাবিগুলোতে আরও জোর দিচ্ছে। তাদের কাজেই সেটি ফুটে উঠছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর প্রশাসন বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দকৃত কোটি কোটি ডলারের তহবিল স্থগিত করেছে। নীতিমালাসহ অন্যান্য পরিবর্তন আনতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাপ দেওয়ার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত বছর তাদের ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ দমনে ও ইহুদিবিদ্বেষ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে।