সিলেটের চিরচেনা মাঠ : তবু ব্যাটিং ব্যর্থতার প্রদর্শনী বাংলাদেশের
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭:৩৬:৫৮ অপরাহ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক : ব্যাটিং সহায়ক উইকেট, চেনা পরিবেশ, ঘরের মাঠ, সামর্থ্য-কোন দিক থেকে পিছিয়ে বাংলাদেশ? না, কোনো দিকেই জিম্বাবুয়ের চেয়ে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। অথচ সেই দলটা সিলেটের চিরচেনা মাঠে অলআউট হয়ে গেল আড়াই সেশনের কম সময়ে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে রোববার ২০০ রানও অতিক্রম করতে পারলোনা। ব্যাটিং ব্যর্থতার চূড়ান্ত প্রদর্শনীতে শান্ত-মুশফিকরা ৬১ ওভারে অলআউট হয়েছে ১৯১ রানে।
টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করতে যেন উঠেপড়ে লাগেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। মুমিনুল হকের ৫৬ ও শান্তর ৪০ রান ছাড়া বলার মতো সংগ্রহ গড়তে পারেননি কেউই। ব্লেসিং মুজারাবানি ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বোলিং তোপে দিশেহারা হয়ে পড়েন ব্যাটাররা। দুজনই নেন ৩টি করে উইকেট। দুটি করে উইকেট শিকার করেন ভিক্টর নায়ুচি ও ওয়েসলি মাদেভিরে।
ভিক্টর নায়ুচি প্রথম সাফল্য এনে দেন জিম্বাবুয়েকে। ইনিংসের নবম ওভারে ব্রায়ান বেনেটের ক্যাচে পরিণত হন সাদমান। বাংলাদেশ হারায় প্রথম উইকেট। ২৩ বলে ১২ রান করে সাদমান বিদায় নেন। এক ওভার বিরতি দিয়ে নায়ুচি তুলে নেন দ্বিতীয় ওপেনার জয়কেও। এবার উইকেটের পেছনে ক্যাচ নেন নায়াশা মায়াভো। ৩৫ বলে ১৪ রান করেন জয়।
৩২ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে খানিক স্বস্তি এনে দেন শান্ত ও মুমিনুল হক। দুজনের জুটিতে আসে ৬৬ রান। ৪০ রানে বিদায় নেন শান্ত। ৯৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর মুমিনুল হককে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু, থিতু হতে পারেননি তিনিও। মাত্র ৪ রান করে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে ব্রায়ান বেনেটের তালুবন্দি হন মুশফিক। ফিফটির পর বিদায় নেন মুমিনুলও। ৫৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ১ রানে আউট হয়ে বিপদ বাড়ান মেহেদী হাসান মিরাজ। যে বিপদ আর সামাল দেওয়া যায়নি। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ঘরের মাঠে পড়তে হয়েছে লজ্জায়।
ওদিকে, বৃষ্টির শঙ্কা থাকলেও সিলেট টেস্টের প্রথম দিনের সকালটা ছিলো রৌদ্রোজ্জ্বল। লাঞ্চের আগ পর্যন্ত খেলা হয়েছে নির্বিঘেœ। তবে লাঞ্চের পর বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। ঘন্টাখানেক খেলা হয়েছে ফ্লাইডলাইটের আলো জ্বালিয়ে। ভেজা আউটফিল্ডের কারণে দ্বিতীয় সেশনের খেলা মাঠে গড়াতে দেরি হয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ৬১ ওভারে ১৯১/১০ (জয় ১৪, সাদমান ১২, মুমিনুল ৫৬, শান্ত ৪০, মুশফিক ৪, জাকের ২৮, মিরাজ ১, তাইজুল ৩, হাসান ১৯, খালেদ ৪*, নাহিদ ০; এনগারাভা ১৪-২-৩৭-০, মুজারাবানি ১৯-৪-৫০-৩, নায়ুচি ১৫-২-৭৪-২, মাদেভিরে ৩-২-২-২, মাসাকাদজা ১০-৪-২১-৩)।