ধলাই নদীর বালু লুটতরাজ বন্ধে স্মারকলিপি
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৯:০১:১২ অপরাহ্ন
পরিবেশবাদী সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট শাখার পক্ষ থেকে ধলাই নদীর বালু লুটতরাজ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবীতে রোববার সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। বেলা ১ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ধরার নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ-এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে পরিবেশবাদীদের পক্ষ থেকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই সেতুর নিচে বালু লুটতরাজ বন্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০), বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০, পানি উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০০০, ফৌজদারি দ-বিধি ১৮৬০, সন্ত্রাসবিরোধী আইন বা বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে অবিলম্বে নদ-নদী ও সেতু রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট শাখার পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের শিথিলতায় সিলেট জেলার বিভিন্ন নদ-নদীতে অনিয়ন্ত্রিত ও অপরিকল্পিতভাবে বালি উত্তোলন চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদেও চলছে নির্বিচারে বালু লুটপাট। বালুখেকোরা কঠোরভাবে প্রশাসনিক কোন বাধা না পাওয়ায় এতোই বেপরোয়া হয়েছে যে, বর্তমানে ধলাই সেতুর নিচ থেকে বালি উত্তোলন করা শুরু করেছে। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও স্থানীয় জনগণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশবাদী সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট শাখার পক্ষ থেকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে এই বালু লুটতরাজের সত্যতা পাওয়া যায়। বালুখেকোদের বেপরোয়া বালু উত্তোলনের কারণে ধলাই সেতু যে কোন সময়ে ধ্বসে যেতে পারে। ফলে রাষ্ট্রিয় সম্পদ বিনষ্টের পাশাপাশি ঐ এলাকার মানুষের জীবনযাত্রায় বিঘ্ন
ধরা সিলেট শাখার আহ্ববায়ক ডাঃ মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহার ও ধরার সদস্য সচিব আব্দুল করিম কিম-এর স্বাক্ষরে স্মারকলিপি প্রদানকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ধরা সিলেট শাখার কার্যকরি কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির লিটন, এডভোকেট অরুপ শ্যাম বাপ্পি, রেজাউল কিবরিয়া, রোমেনা বেগম রোজী, রিনি চৌধুরী, সোহাগ তাজুল আমিন, লিটন চৌধুরী, আব্দুর রহমান হীরা ও নাহিদা খান সুর্মি প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি