হামহাম জলপ্রপাতে বেড়েছে দর্শনার্থী
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৬:১২:৪২ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের হামহাম জলপ্রপাতে এবার বেড়েছে দর্শনার্থীর সংখ্যা। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত এখন হামহাম। সম্প্রতি সরেজমিনে গেলে এমন চিত্র ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পায়ে হেঁটে চার কিলোমিটার টিলা বেয়ে যেতে দর্শনার্থীরা যেন ক্লান্ত হন না। হামহামকে ছুঁয়ে দেখতে চান স্বশরীরে।
পাহাড়ি টিলার আঁকাবাঁকা পথে পথে দেখা হয় বহু পর্যটকদের সাথে। তারা জানান, চার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে বিক্ষিপ্ত পাথর, কাটা বাঁশ, জোঁকের আক্রমণ আর উঁচু-নিচু টিলা বেয়ে রীতিমত যুদ্ধ করে জলপ্রপাতে পৌঁছাতে হয়। দেড় ঘণ্টা পথ হেঁেট কাঙ্খিত স্থানে পৌঁছালে সব কষ্ট দূর হয়ে যায়। বন্ধু-বান্ধবসহ ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা থেকে হামহামে আসা পর্যটক সামছুদ্দিন খান জানান, দেড় ঘন্টা পায়ে হেঁটে ঝর্ণায় পৌঁছেছি। কষ্ট হলেও প্রকৃতি ও ঝর্ণাধারা দেখে খুব ভালো লেগেছে। আরেক পর্যটক বলেন, এখানকার পাহাড়ে উঠানামা খুবই কষ্টের। কিন্তু ঝর্ণার কাছাকাছি টিলার যে সোজাসুজি উচুঁ-নিচু যে একটা অবস্থা। এটা খুব কষ্টের। খাড়া উঁচু টিলায় মন ভরেনি।
কমলগঞ্জ উপজেলার এক কর্মকর্তা জানান, হামহামের সড়কটি সংস্কার করতে চাই। কিন্তু জায়গাটি বনবিভাগের। তাদের সাথে আলোচনা করে গহীন বনের এই সড়কটি সংস্কার করা হবে। মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ ইসরাইল হোসেন বলেন, হামহাম জলপ্রপাত সংস্কারের বিষয়টি আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। আগামী মে মাসে ঢাকায় যে প্রজেক্ট পাঠানো হবে এটাতে হামহাম থাকবে।
জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কুরমা বনভিট এলাকায় অবস্থিত হামহাম জলপ্রপাত। শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও কমলগঞ্জের শমসেরনগর হয়ে হামহামে যেতে হয়। পাহাড়ের এক কিনারায় গাড়ি রেখে ঘন্টার পর ঘন্টা টিলা বেয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান পর্যটকরা। ২০১০ সালে একদল পর্যটক এটির আবিষ্কার করেন। এরপর থেকেই এখানে বাইরের মানুষের যাওয়া-আসা শুরু।