আকাশে মেঘ-বৃষ্টির লুকোচুরি : কি বলছে আবহাওয়া দপ্তর?
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০২:৪২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটসহ দেশের আকাশজুড়ে সোমবার সকাল থেকেই ছিল মেঘের আনাগোনা। বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিও হয়। এরপরই আবার রোদ ওঠে। এভাবে কখনো রোদ সরে যায়, আবার আকাশে দেখা যায় মেঘের প্রত্যাবর্তন। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আবারও বৃষ্টি শুরু হতে পারে। বিভিন্ন জায়গায় বজ্রমেঘ সৃষ্টি হয়েছে। আর এখন যে বৃষ্টি বা ঝড়ো হাওয়া, তা মূলত কালবৈশাখী হিসেবেই চিহ্নিত হবে। কিন্তু কালবৈশাখী যখন হয়, তখন আকাশ কালো করে মেঘ আসে এবং একবারে বৃষ্টিও হয় অনেকটা। কয়েক দিন ধরেই তেমনটা হচ্ছে। বৃষ্টি অনেকটাই কম মেঘের তুলনায়।
কেন এমন হচ্ছে, এর জবাবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন, মেঘ আর বৃষ্টির লুকোচুরি খেলাটা হচ্ছে মূলত তাপমাত্রা যথেষ্ট না বাড়ার কারণে। তাপ বেশি থাকলে ক্রমান্বয়ে জলীয় বাষ্প সৃষ্টি হয়ে বজ্রমেঘ ও ঝড়ের সৃষ্টি হয়। সেটার অভাব আছে। কিন্তু এখন যেটি হচ্ছে, সেটি মূলত কালবৈশাখী। তিনি জানান, নানা স্থানে বজ্রমেঘের সৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রতি মাসের শুরুতে আবহাওয়ার একটি দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দেয়। এই মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, হালকা থেকে মাঝারি বেশ কয়েকটি তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। এর মধ্যে হালকা থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও তীব্র তাপপ্রবাহের সৃষ্টি এখনো হয়নি। এর মধ্যে কয়েক দফা বৃষ্টি হয়েছে। তাতে তাপমাত্রা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানাচ্ছে, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা খুব একটা কমবে না; বরং তা কিছুটা বাড়তে পারে।
গত বছর ৩৫ দিন একটানা তাপপ্রবাহ বয়ে গিয়েছিল দেশের বিভিন্ন স্থানে। বিশ্বের ৭৬ বছরের ইতিহাসে তেমনটা হয়নি। সে তুলনায় এবার তাপপ্রবাহ কিছুটা হলেও কম। এদিকে ২৪ ঘন্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় অস্থায়ীভাবে প্রতি ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার কিংবা তার চেয়ে বেশি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতসহ বৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে বজ্রপাত থেকে রক্ষায় বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়েছে, বজ্রপাত হলে ঘরের মধ্যে থাকতে হবে। জানালা ও দরজা বন্ধ রাখতে হবে। সম্ভব হলে যাত্রা এড়িয়ে চলতে হবে। বজ্রপাত হলে নিরাপদ আশ্রয়ে আশ্রয় নিতে হবে। তবে গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া যাবে না বলে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, কংক্রিটের মেঝেতে শোয়া যাবে না এবং কংক্রিটের দেয়ালে হেলান দেওয়াও যাবে না। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্লাগ খুলে রাখতে হবে।
কেউ জলাশয়ে থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে উঠে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বিদ্যুৎ পরিবাহক বস্তু থেকে দূরে থাকুন। শিলা বৃষ্টির সময় ঘরে অবস্থান করুন।