সিলেট টেস্ট : ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৭:৫২ অপরাহ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক : টেস্টে প্রথম দিনটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সিলেট টেস্টে প্রথম দিনটাই ভালো যায়নি বাংলাদেশের। ফলে গতকাল দ্বিতীয় দিনও শেষ করেছে পিছিয়ে থেকে। তবে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ঘূর্ণি জাদু ও শেষ বিকেলে মাহমুদুল হাসান জয়-মুমিনুল হকের ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছে স্বাগতিকেরা।
ব্রায়ান বেনেট-বেন কারেনের দারুণ শুরুর পরও নাহিদ রানার তোপ ও মিরাজের ৫ উইকেটের সৌজন্যে জিম্বাবুয়েকে ২৫৮ রানে আটকে রাখে বাংলাদেশ। ৮১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ৫৭ রান তুলেছে তারা। ২৫ রানে পিছিয়ে থেকে আজ আবারও ব্যাটিংয়ে নামবেন মুমিনুল-জয়।
টেস্ট ক্যারিয়ারে ১১ তম বার ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়ে মিরাজ জানিয়েছেন, ম্যাচটা বাংলাদেশের পক্ষে জেতা সম্ভব। এজন্য দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫০ থেকে ৪০০ রানের স্কোর গড়তে হবে তাঁদের। দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক বললেন, প্রথমে আমাদের লিডটা পার করতে হবে। আমাদের প্রথম লক্ষ্য থাকবে লিড যেন পার করতে পারি। তারপর ব্যাটাররা দায়িত্ব নিয়ে যেন একটা স্কোর করতে পারি।
মিরাজের বলছেন উইকেট এখন ব্যাটিং সহায়ক, ভালো ব্যাটিং করলেই ভালো স্কোর সম্ভব, এখন যে উইকেট আছে, আমার মনে হয়, আমরা যদি ভালোভাবে ব্যাটিং করতে পারি, ইনশা আল্লাহ আমরা চেষ্টা করব, ৩৫০ থেকে যদি ৪০০ রান করতে পারি, এটা আমাদের দলের জন্য অনেক ভালো হবে।
মিরাজের কথায় ৩০০ থেকে ৩৫০ রান জিম্বাবুয়েকে লক্ষ্য দিতে পারলে সিলেট টেস্টে জিততে পারে বাংলাদেশ, ‘আর টেস্ট ক্রিকেটে যদি ৩০০ রান লক্ষ্য দেওয়া হয়, চতুর্থ ইনিংসে এটা প্রতিপক্ষের জন্য অনেক কঠিন। কারণ উইকেটে অনেক পরিবর্তন আসবে। কিন্তু এটা আমাদের ব্যাটারদের ওই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে।
চিন্তার ব্যাপার, সিলেটের মাঠে টেস্টে ৪০০ দূরে, ৩৫০ রানও করতে পারেনি বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত ইনিংস ব্যাটিং করে ৫ বারই অলআউট হয়েছে ২০০ রানের আগে। সর্বোচ্চ স্কোর ৩৩৮ ও ৩১০ রান-২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিল তারা। আজ মিরাজরা আসলে দায়িত্ব নিয়ে কতটা ভালো ব্যাটিং করতে পারেন সেটি দেখার অপেক্ষা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ১৯১/১০। জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস : ৮০.২ ওভারে ২৭৩/১০।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস : ১৩ ওভারে ৫৭/১* (সাতমান ৪, জয় ২৮*, মুমিনুল ১৫*; নায়ুচি ৫-২-১১-০, মুজারাবানি ৪-০-২১-১, এনগারাভা ৪-০-২০-০)।