লাইফ সাপোর্টে ব্যারিস্টার রাজ্জাক, দোয়া চাইলেন জামায়াত আমীর
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৭:০৩ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আইসিউতে চিকিৎসাধীন। তার জন্য দোয়া চেয়েছেন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান। সোমবার নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্টে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের সুস্থতা কামনা করেন তিনি।
পোস্টে ডা. শফিকুর রহমান লেখেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জনাব ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে একান্ত আরজ, তিনি যেন তার বান্দার ওপর রহম করেন, ক্ষমা করেন এবং সুস্থতার নিয়ামত এনায়েত করেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার চিকিৎসা কাজে নিয়োজিতদের চিকিৎসা সেবা সম্পন্ন করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ১১ বছর পর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। এরপর সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় ফেরেন। ৬ জানুয়ারি তার জুনিয়র আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনে তাকে সংবর্ধনাও দিয়েছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। দলের সহকারী সেক্রেটারি আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি হওয়ার পাঁচদিনের মাথায় ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর তিনি দেশ ছাড়েন।
এর আগে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের আইনজীবী ছিলেন। আইনজীবী হিসেবে তার অবস্থানও সুপ্রিম কোর্টে ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে। দল ও আইন অঙ্গনে তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা অব্যাহত রয়েছে।
ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪৪ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে। বিএ (অনার্স) ও এম এ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮০ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি লন্ডনেই আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। দেশে ফিরে ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে অন্তভুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৪ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯০ সালে তিনি দ্য ল’ কাউন্সেল নামে একটি আইনি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী হন।