ওসমানী বিমানবন্দরে অভিনব স্বর্ণ পাচারে যুবক আটক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ৭:২৩:৫৯ অপরাহ্ন
৮টি পোশাকে স্বর্ণের প্রলেপ
স্টাফ রিপোর্টার: শরীরের ব্যবহৃত বিভিন্ন কাপড়ে লিকুইড সোনার প্রলেপ। বাদ যায়নি আন্ডারওয়ার (অন্তর্বাস) ও গেঞ্জি। তার শরীরের ৮টি কাপড়ে মিলেছে সোনার অস্তিত্ব। এভাবেই সোনা গলিয়ে কাপড়ে লেপে দিয়ে অভিনব পন্থায় পাচার করছিলেন জনৈক যুবক। সাধারণ চোখে এসব বিষয় বোঝার কোন উপায় ছিল না। তবে স্ক্যানারে পরীক্ষায় ধরা পড়লে তাৎক্ষণিক তাকে আটক করা হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। আটক ব্যক্তির নাম আলীম উদ্দিন (৪০)। তিনি সিলেটের গোয়াইনঘাটের গহরা গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে।
বিমানবন্দর কাস্টমস সূত্র জানায়, আলীম উদ্দিন দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের যাত্রী ছিলেন। তার বাড়ি গোয়াইনঘাটে হলেও তিনি রাজধানী ঢাকায় অবতরণের টিকিট করেছিলেন। অবতরণের পর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে উড়োজাহাজের ভেতর থেকে নামিয়ে আনেন কাস্টমস ও এনএসআইয়ের গোয়েন্দারা। পরে স্ক্যানারে পরীক্ষার মাধ্যমে তার পরিধেয় কাপড়ে সোনা গলিয়ে আনার বিষয়টি ধরা পড়ে। জিজ্ঞাসাবাদেও তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। এ সময় আলীমের পরিহিত চারটি আন্ডারওয়ার (অন্তর্বাস), দুটি গেঞ্জি, একটি শার্ট, প্যান্টসহ আটটি কাপড় জব্দ করা হয়।
গোয়েন্দা সংস্থার আরেক কর্মকর্তা জানান, আলীমের সঙ্গে একই বিমানে আরেকজন সোনা চোরাচালানকারী ছিলেন। তাকে ঢাকা বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে স্বর্ণগুলোর দাম কোটি টাকার ওপরে হতে পারে। পরবর্তীতে স্বর্ণকারের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পরিমাপের পর বলা যাবে কী পরিমাণ স্বর্ণ কাপড়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
দৈনিক জালালাবাদকে এর সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, আটক আলীম উদ্দিন একসঙ্গে কয়েকটি আন্ডারওয়ার (অন্তর্বাস) ও গেঞ্জি পরে এসেছিলেন। সেগুলোতে সোনার প্রলেপ দেওয়া ছিল। তার পরিহিত কাপড়গুলো পুড়িয়ে সোনাগুলো উদ্ধার করা হবে। তখন সোনার পরিমাণ বুঝা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পরিধেয় কাপড়ে প্রায় দেড় কেজি সোনা থাকতে পারে।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক জালালাবাদকে বলেন- আটক ব্যক্তিকে বিমানবন্দরে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সোনার সঠিক পরিমাণ জানতে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। কারণ কাপড় থেকে পুড়িয়ে স্বর্ণ আলাদা করা একটু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।