পোষাক গলিয়ে মিললো ৩ কোটি টাকার স্বর্ণ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ৯:০৮:১৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিনব পন্থায় পোষাকে লেপটিয়ে স্বর্ণ নিয়ে আসা পাচারকারী আলিম উদ্দিনকে (৪০) জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। শনিবার (২৬ এপ্রিল) তাকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। এদিকে অন্তর্বাস-গেঞ্জিসহ শরীরের ৮টি পোষাকে লেপটে থাকা স্বর্ণ গলানোর পরে এর পরিমাণ ২ কেজি ১৮৫ গ্রাম হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এর বাজারমূল্য ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা।
এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল হালিম। তিনি জানান, এর আগে পোষাক পুড়িয়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বর্ণ গলানো হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে স্বর্ণ পৃথক করে পরিমাণ নিশ্চিত করা হয়।
এদিকে আটক পাচারকারীকে কারাগারে প্রেরণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এসএমপির মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, চোরাচালান আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে আদালতের নির্দেশে জেলে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত- শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবৈধ উপায়ে অবিনভ পন্থায় নিয়ে আসা লিকুইড স্বর্ণসহ আলিমকে আটক করা হয়। তিনি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি-২৪৮-এ করে দুবাই থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা ২২ মিনিটের সময় সিলেট এয়ারপোর্টে আসেন। আলিম উদ্দিন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার গহরা গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
বিমানবন্দর কাস্টমস সূত্র জানায়, আলিম উদ্দিন দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের যাত্রী ছিলেন। তার বাড়ি সিলেটে হলেও তিনি রাজধানী ঢাকায় অবতরণের টিকিট করেছিলেন। কিন্তু ফ্লাইটটি ৯টা ২২ মিনিটে সিলেটে অবতরণের পর তাকে বিমানের ভেতর থেকে নামিয়ে আনেন কাস্টমস ও এনএসআইয়ের গোয়েন্দারা। পরে স্ক্যানারে পরীক্ষার মাধ্যমে তার পরণের কাপড়ে সোনা গলিয়ে আনার বিষয়টি ধরা পড়ে।
জিজ্ঞাসাবাদেও আলিম উদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করেন। তল্লাশিকালে তার পরিহিত ৪টি অন্তর্বাস, দুটি গেঞ্জি, একটি শার্ট, প্যান্টসহ ৮টি কাপড়ে স্বর্ণের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। পরে কাপড়গুলো জব্দ করে পুড়িয়ে স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা জানান, আলিমের সঙ্গে একই বিমানে আরেকজন সোনা চোরাচালানকারী ছিলেন। তাকে ঢাকা বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে।