৯ মাসে রপ্তানি শুল্ক আদায়ে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১২:৩২ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রপ্তানি শুল্ক আদায়ে রেকর্ড ২০ হাজার শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যেকোনো ধরনের শুল্ক আদায়ে এত প্রবৃদ্ধি দেশের রপ্তানি শুল্কে আগে কখনো হয়নি বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ।
এনবিআর বলছে, গত জুলাই-মার্চ সময়ে শুল্ক বিভাগ রপ্তানি শুল্ক আদায় হয়েছে ৬ কোটি ৩ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি শুল্ক আদায়ের পরিমাণ ছিল মাত্র ৩ লাখ টাকা। সেই হিসাবে রপ্তানি শুল্কে প্রবৃদ্ধি ২০ হাজার শতাংশ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রপ্তানি শুল্ক আদায়ের লক্ষ্য ছিল প্রায় ৪৭ কোটি টাকা। অবশ্য সেই লক্ষ্যের ধারেকাছেও নেই রপ্তানি শুল্ক খাতটি। বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করার সময়ে নানা ধরনের শুল্ক-কর দিতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কিছু পণ্য রপ্তানি করতে গেলেও রপ্তানি শুল্ক দিতে হয়। এই শুল্কের হার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ।
এনবিআর ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্র বলছে, রপ্তানি শুল্ক আছে এমন পণ্যের তালিকায় আছে ধান-চালের তুষ (ব্র্যান), তুলা বর্জ্য, ইট ও ইটের সামগ্রী (বিল্ডিং ব্রিকস), বিভিন্ন ধরনের সিসা ইত্যাদি। সাধারণত এসব পণ্য ভারত, মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এই শুল্ক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭০ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে এসব পণ্য রপ্তানির বিপরীতে শুল্ক আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৬৬ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কিছুটা কমিয়ে ৬৩ কোটি টাকা করা হয়। এনবিআরের তথ্য-উপাত্ত বলছে, এই বছর সব মিলিয়ে ৩ লাখ টাকা আদায় হয়েছিল। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের তথ্য বলছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত আট অর্থবছরে রপ্তানি শুল্ক বাবদ সরকার মোট আয় করেছে ২৫৪ কোটি টাকা।