বড়লেখায় মদসহ আটক ৩ জনের ২ জনকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ৮:১০:০২ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি : বড়লেখার শাহবাজপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে ৫০ বোতল ভারতীয় মদসহ আটক ৩ ব্যক্তিকে ফাঁড়িতে নিয়ে বিরাট অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে এদের দুইজনকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। রোববার পূর্বাহ্নে (রাত দেড়টা) শাহবাজপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন সুরমা কমিউনিটি সেন্টারের সামনের তিন রাস্তার মোড় থেকে বিদেশী মদসহ পুলিশ তাদের আটক করে। এসময় একটি অটোরিকশাও আটক করে পুলিশ। পরে আটক মাদক ব্যবসায়ি আলাউদ্দিন আলাইকে (৫৭) মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে শাহবাজপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন সুরমা কমিউনিটি সেন্টারের সামনের তিন রাস্তার মোড়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় চিহ্নিত মাদক কারবারি আলাউদ্দিন আলাই, শ্রীবাস ও অটোচালক আবুল মিয়াকে আটক ও তল্লাশি চালিয়ে তাদের হেফাজত থেকে দুটি প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর থেকে ৫০ বোতল ভারতীয় অবৈধ মদ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মদ ও অটোরিকশা জব্দ করে পুলিশ তাদেরকে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়। রোববার দুপুরে পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক আটক মাদক ব্যবসায়ি আলাউদ্দিন আলাইর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন পুলিশ তিনজনকে বিদেশী মদ ও অটোরিকশাসহ আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরে বিরাট অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে ফাঁড়ি ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক আটক শ্রীবাস ও আবুল মিয়াকে ছেড়ে দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ঘটনার সময় আশপাশে অনেক সাধারণ লোক থাকা সত্ত্বেও রহস্যজনকভাবে পুলিশ আটক আবুল মিয়াকে জব্দ তালিকায় স্বাক্ষী করেছে। অটোরিকশা জব্দ করে থানায় নিয়ে গেলেও জব্দ তালিকায় তার কোনো উল্লেখ করেনি। সূত্র জানায় অটোরিকশা ছেড়ে দিতে ফাঁড়ি ইনচার্জ আবুল মিয়ার কাছে আরো ২০ হাজার টাকা দাবী করছেন।
এ ব্যাপারে শাহবাজপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও গ্রেফতার আলা উদ্দিন আলাইর বিরুদ্ধের মামলার বাদি ইন্সপেক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ সঠিক নয়। ব্যবসায়ি শ্রীবাসকে ফাঁিড়তে নিয়েছিলেন ঠিকই। উদ্ধার মাদকের সাথে তার সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দিয়েছেন। অপরদিকে আবুল মিয়া অটোরিকশা চালক। গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ি আলাউদ্দিন আলাইকে সে সনাক্ত করেছে। এজন্য তাকে মামলায় ও জব্দনামায় স্বাক্ষী করে ছেড়ে দিয়েছেন।