ওসমানীতে রোগীর স্বজনকে লাঞ্চিত, ডাক্তারকে অব্যাহতি : তদন্ত কমিটি গঠন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ৯:৪৫:৪৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার ঘটনায় অভিযুক্ত ডাক্তারকে দায়িত্ব পালন থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একই সাথে এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটিকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে অভিযুক্ত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সোমবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওসমানী হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী।
জানা গেছে, ওসমানী হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা জুবায়ের আহমদ নামক এক রোগী রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে পেটের ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন। এ সময় তাঁর পাশ দিয়ে যাওয়া হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তন্ময় দেবনাথকে হাতের ইশারায় ডাক দেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ডা. তন্ময়। তিনি রাগান্বিত হয়ে বলেন- ‘তুমি কি জমিদার এসেছো যে আমাকে হাতের ইশারায় ডাকছো? আমি কি ফকিন্নির পুত?’
এসময় স্বজনরা ডাক্তার দেবনাথকে রোগীর শারীরিক অবস্থা বুঝাতে চেষ্টা করেন ও রাগান্বিত না হওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি শান্ত হওয়ার পরিবর্তে আরো উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এমনকি এক পর্যায়ে রোগীর মামাতো ভাই লক্ষ্য করে লাথি মারেন।
এসব দৃশ্য ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন মোবাইলে ভিডিও করে পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেন। মুহুর্তেই ভিডিওটি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে ও সমালোচনার ঝড় উঠে। সবাই অভিযুক্ত ডাক্তারের শাস্তি দাবি করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী রোগী জুবায়ের আহমদ ও তার স্বজনরা সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার খলাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। পেটের বাঁ পাশে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসার জন্য কয়েক দিন আগে সিলেট আসেন জুবায়ের। প্রাথমিকভাবে এক চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অপারেশন করান তিনি। কিন্তু ব্যথা না কমায় সেখান থেকে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। গত ২৫ এপ্রিল (শুক্রবার) তিনি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হন। রোববার দুপুরে পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হলে ডাক্তারকে ডাকতে গিয়েই চিকিৎসকের এমন অমানবিক আচরণের শিকার হন জুবায়ের ও তার স্বজনরা।