মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

গণহত্যার দায়ে পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে এবং আওয়ামী সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বিকেল ৩টায় মিছিলটি নগরীর বন্দরবাজার কোর্ট পয়েন্ট থেকে শুরু করে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সামাদ তোহেলের সভাপতিত্বে, যুগ্ম আহবায়ক আবু সালেহ মো: তাহের এবং রুনু আহমেদের যৌথ পরিচালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুমিনুল হক চৌধুরী রাহি, আজিজ খান সজিব, আবুল কালাম সাহেদ, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান সপু, দুলাল আহমেদ, চমক দে পল্লু ও সেলিম মিয়া প্রমূখ।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- ৪নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক হেলাল আহমদ, ৫নং ওয়ার্ডের আহবায়ক কাওসার আহমদ, ৬নং ওয়ার্ড ওয়ার্ডের আহবায়ক আহমেদ হোসেন, সদস্য সচিব আতিকুর রহমান পরান, ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য সচিব রাশেদ মিয়া, ৪নং ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সুহিন আহমদ প্রমূখ। মিছিলে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্র্মী উপস্থিত ছিলেন।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৭ বছর রক্ত বিসর্জন দিতে দিতে শেষ পর্যন্ত রক্তের সাগর পাড়ি দিয়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার সফল গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা হচ্ছে ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও গণহত্যাকারী ও তার দোসরদের বিচার হয়নি। বরং তাদের অল্প যে ক’জনকে আটক করা হয়েছিল, আইনের ফাঁকফোকরে বেরিয়ে এসে তাদের হাসি দেখলে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। মনে হয় এটা যেন অজস্র শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানী করা হচ্ছে। বক্তারা বলেন, অবিলম্বে হাসিনাসহ তার সকল দোসরদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি