ল্যাব বন্ধ করে টেকনিশিয়ানের বদলি, ভোগান্তিতে রোগীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ মে ২০২৫, ৫:৫০:২৬ অপরাহ্ন
আব্দুল জলিল, কোম্পানীগঞ্জ : প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র ভরসাস্থল সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনিশিয়ানের বদলীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা। ল্যাবে টেকনিশিয়ান ছিলেন মাত্র একজন। গত জানুয়ারিতে তাকেই বদলির অনুমতি দিয়েছেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ফলে বন্ধ রয়েছে ল্যাবের কার্যক্রম।
প্রতিদিন ইনডোর আউটডোর মিলিয়ে প্রায় সাত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে। এসব রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে সরকারি ল্যাব। কিন্তু গত ৪ মাস থেকে ল্যাব টেকনিশিয়ান না থাকায় বন্ধ রয়েছে ল্যাবটি। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের। রোগীদের অভিযোগ উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব বন্ধ করে টেকনিশিয়ানকে কিভাবে বদলির অনুমতি দেয়া হল।
রোববার চিকিৎসা নিতে আসা রোগী আব্দুল হামিদ জানান, রক্ত পরীক্ষা করাতে দিয়েছেন ডাক্তার। কিন্তু মেডিকেলে পরীক্ষা করাতে পারছি না। এখন অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বাইরে কোন ল্যাবে পরীক্ষা করাতে হবে।
গত বছরের নভেম্বরে ল্যাব টেকনিশিয়ান শোভন কুমার মজুমদারের বদলি হয়। এ বছরের জানুয়ারিতে তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জাতীয় বার্ণ ইনস্টিটিউটে চলে যান। তারপর থেকে বন্ধ রয়েছে ল্যাব। ল্যাব বন্ধ করে দরজায় টানিয়ে দেওয়া হয়েছে নোটিশ। তাতে লেখা রয়েছে ‘বদলিজনিত কারণে ল্যাব এর কার্যক্রম সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে, নতুন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) নিয়োগের পূর্ব পর্যন্ত’। মেডিকেলের ল্যাব বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। বিভিন্ন পরীক্ষা তাদের বাইরে প্রাইভেট ল্যাবগুলোতে করাতে হচ্ছে। এতে বাড়তি অর্থের সাথে ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত সময়ও।
এদিকে, ল্যাব টেকনিশিয়ান দীর্ঘদিন থেকে না থাকায় নষ্ট হচ্ছে পরীক্ষায় ব্যবহৃত বিভিন্ন রিএজেন্ট। অনেক রিএজেন্ট মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে বন্ধ থাকায় নষ্ট হচ্ছে ল্যাবের মেশিন ও যন্ত্রাংশ। এভাবে আরো কয়েকমাস বন্ধ থাকলে ল্যাবের যন্ত্রপাতি ও রিএজেন্ট নতুন করে কিনে আবার ল্যাব সচল করতে হবে বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা গেছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আরিফুর রহমান নয়ন বলেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) না থাকায় ল্যাব বন্ধ রয়েছে। এতে মেয়াদোত্তীর্ণ হচ্ছে বিভিন্ন রিএজেন্ট। বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।