সিলেট ডিএসএ কাপ টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে কাল
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ মে ২০২৫, ৯:০৪:১০ অপরাহ্ন
সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ‘সিলেট ডিএসএ কাপ টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’। টুর্নামেন্টে ছয়টি দল অংশগ্রহণ করছে। দলের নামকরণ নদীর নামে করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-পদ্মা প্লাটুন, মেঘনা সুপার জায়েন্ট, যমুনা ওয়ারিয়র্স, কুশিয়ারা সুপার কিংস, সুরমা গ্ল্যাডিয়েটর ও বাসিয়া টাইটানস।
রোববার সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের ক্রিকেট প্যাভিলিয়ন ভবনের টিপু মজুমদার প্রেসবক্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাডহক কমিটির সদস্য এমরান আহমদ চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিলেট ডিএসএ কাপ টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটারদের তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে লটারির মাধ্যমে দল গঠন করা হয়েছে। যাতে প্রতিটি দল সমান শক্তিশালী হয়। একইভাবে লটারির মাধ্যমে কোচ, সহকারী কোচ ও ম্যানেজার মনোনীত করা হয়েছে। এতে দলগুলো ভারসাম্যপূর্ণ হয়েছে বলে মনে করেন আয়োজকরা। জাতীয় ক্রিকেট দলে প্রতিনিধিত্ব করা সিলেটি ক্রিকেটাররা, জেলা ও বিভাগীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটাররা এবং পাশাপাশি প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগের ক্রিকেটাররা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন বলে জানান।
সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থা নেতৃবৃন্দ আরো জানান, প্রতিযোগিতা রাউন্ড রবিন লীগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রতিটি দল প্রত্যেক দলের মুখোমুখি হবে। প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। রাউন্ড রবিন লীগের সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী দুই দল ফাইনালে মুখোমুখি হবে। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত তারিখের কোন খেলা আয়োজন করা সম্ভবপর না হলে উল্লেখিত দুইদলের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি করা হবে। বৃষ্টির মৌসুম বিবেচনায় ফাইনাল ম্যাচের ক্ষেত্রে রিজার্ভ-ডে রাখা হয়েছে।
ক্রীড়া সংস্থা নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৯ এপ্রিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার এ্যাডহক কমিটি অনুমোদনের পর ২১ এপ্রিল প্রথম সভার মাধ্যমে এ্যাডহক কমিটি আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে। প্রথম সভাতেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় দ্রুত সময়ে সিলেটের ক্রীড়াঙ্গনের অচলাবস্থার নিরসন করা। ক্রিকেট জনপ্রিয় খেলা হলেও, এর কাঠামোগত উন্নয়নে এখনো অনেক ঘাটতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। সিলেটে সময়মতো লীগ আয়োজন না হওয়া, অনুপযুক্ত সময়ে খেলা আয়োজন এবং প্রতিযোগিতার অভাব-এসব বিষয় মাঠের পারফরমেন্স এবং খেলোয়াড়দের মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থা নেতৃবৃন্দ। তারা আরো জানান, বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলোয়াড় তৈরির মূল ভিত্তি হলেও বর্তমানে বাছাই প্রক্রিয়ায় কিছু সমস্যা রয়েছে। সিলেটে একদিনে প্রায় ১২শ খেলোয়াড় বাছাইয়ের চেষ্টা করা হয়, যা কার্যত সুষ্ঠ মূল্যায়নের পথে বড় বাধা। এই অল্প সময় ও অতিরিক্ত চাপের মধ্যে প্রতিভাবান খেলোয়াড়েরা অনেক সময় নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেন না। ফলে, প্রকৃত ট্যালেন্ট হারিয়ে যায়। ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ মজবুত করতে হলে বয়সভিত্তিক বাছাই প্রক্রিয়াকে ধাপে ধাপে, পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ও অভিজ্ঞ কোচদের মাধ্যমে পরিচালনা করবেন বলেও জানান।
তারা আরো জানান, ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা থেকেই মাত্র ৪-৫ দিনের প্রস্তুতিতে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছে। সময় স্বল্পতা সত্ত্বেও চেষ্টা করেছেন যেন এই আয়োজনটি খেলোয়াড়দের জন্য স্মরণীয় হয়। এ ব্যাপারে তারা সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। বিজ্ঞপ্তি