কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই দশকে চালু হয়নি এক্স-রে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ মে ২০২৫, ৭:৫৫:৫১ অপরাহ্ন
আব্দুল জলিল, কোম্পানীগঞ্জ (সিলেট) : ২০০৫ সালে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারিভাবে দেওয়া হয়েছিল এক্স-রে মেশিন। কিন্তু সে সময় এমটি রেডিওগ্রাফার না থাকায় চালু করা যায়নি এক্স-রে পরিক্ষা। ২০১১ সালে এমটি রেডিওগ্রাফার নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আড়াই বছর পর তিনি প্রেষণে অন্যত্র চলে যান। একযুগ থেকে প্রেষণে থাকায় নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না এই পদে। ফলে দুই দশক থেকে বন্ধ রয়েছে এক্স-রে পরিক্ষা। নষ্ট হয়ে গেছে এক্স-রে মেশিন।
২০০৫ সালে এক্স-রে মেশিন দেওয়া হলেও তা চালু হয়নি এমটি রেডিওগ্রাফারের জন্য। ২০১১ সালের ১৬ মে এমটি রেডিওগ্রাফার হিসেবে বিবি হাজেরাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরমধ্যে ৬বছর বন্ধ থাকে এক্স-রে মেশিনটি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় নষ্ট হয়ে যায় এটি। এমটি রেডিওগ্রাফার থাকলেও তখন চালু হয়নি এক্স-রে। পরে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রেষণে অন্যত্র চলে যান বিবি হাজেরা। তখন থেকে তিনি আর কোম্পানীগঞ্জে ফেরেননি। কাগজে কলমে তিনি কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমটি রেডিওগ্রাফার হলেও সার্ভিস দিচ্ছেন ঢাকা আইএসটিতে। দীর্ঘ একযোগের বেশি সময় থেকে তিনি কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধীনেই বেতন নিচ্ছেন। ফলে নতুন করে কাউকে এই পদে সংযুক্তও করা যাচ্ছে না।
এদিকে ২০২৩ সালের ২৭ এপ্রিল নতুন আরেকটি এক্স-রে মেশিন দেয় সরকার। নতুন মেশিন দিলেও সেটা দিয়ে পরিক্ষা শুরু হয়নি। এমটি রেডিওগ্রাফার বিবি হাজেরা প্রেষণে অন্যত্র থাকায় মেশিনটি বন্ধ থাকে। এতে এই মেশিনটিও নষ্ট হয়ে যায়। সরকারের কয়েক লক্ষ টাকার মেশিনগুলো নষ্ট হলেও এমটি রেডিওগ্রাফারকে নিজ কর্মস্থলে ফেরায়নি কর্তৃপক্ষ।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আরিফুর রহমান নয়ন জানান, বিবি হাজেরা দীর্ঘদিন থেকে প্রেষণে রয়েছেন। উনার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনে পরিক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। এবং নতুন কাউকেও উনার জায়গায় নেওয়া যাচ্ছে না। আমি বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।