ওসমানীনগরে স্কুলে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করে ইজারা প্রদান
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ মে ২০২৫, ৯:১৩:৪১ অপরাহ্ন
ওসমানীনগর প্রতিনিধি : ওসমানীনগরের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ নবগ্রাম হাজি মো: ছাইম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভূমিতে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করে লিজ প্রদান করায় লিজ গ্রহীতার নামের তালিকা ও লিজ বাবদ প্রাপ্ত টাকার পরিমাণের তথ্য চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করার খবর পাওয়া গেছে। গত সোমবারে এ আবেদনটি করেন বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ও উসমানপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ সায়েস্তা মিয়া।
জানা গেছে, উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের মাদারবাজারে অবস্থিত নবগ্রাম হাজী মো: ছাইম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভূমিতে প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান ও তৎকালীন পরিচালনা কমিটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি ছাড়া পাঠদান কক্ষের দরজা-জানালা বন্ধ করে মার্কেট নির্মাণ করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিকট ইজারা প্রদান করেন। বিষয়টি সে সময় স্থানীয়রা সমালোচনা করলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারদলীয়দের সুবিধা দিয়ে কাউকে তোয়াক্কা না করে ভবনের দোকান কোঠা তাদের পছন্দের লোকদের ইজারা প্রদান করা হয়। এসময় দোকান কোঠা নির্মাণ ও ইজারা প্রদানে ব্যাপক দুর্নীতি হওয়ায় বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ও উসমানপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ সায়েস্তা মিয়া ভবন নির্মাণ ও ইজারা প্রদানের প্রকৃত তথ্যের জন্য আবেদন করেন।
উসমানপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ সায়েস্তা মিয়া বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিতে সংশ্লিষ্টদের অনুমতি ছাড়া দুর্নীতি করতে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করে দোকান কোঠা ইজারা দেয়া হয়েছে।
জনসমক্ষে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরার জন্য তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছি। তথ্য পেয়ে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থায় যাবো। এ বিষয়ে জানতে সাংবাদিকরা প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান এর মোবাইলে ফোন করলে, বিষয়টি আমি জানি বলে তিনি ফোন রেখে দেন। ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নবগ্রাম হাজী মো. ছাইম উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা এ্যাডহক কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তথ্যগুলো বিদ্যালয় থেকে প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য গেল মাসে প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান আওয়ামী লীগের নেতাদের দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠনের প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠান।বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ইউপি জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ শায়েস্তা মিয়া কমিটি বাতিল চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেন।