কুশিয়ারার ভাঙনে নদীগর্ভে সড়ক ও সেতু
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ মে ২০২৫, ১০:০৯:৪৯ অপরাহ্ন
বালাগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় সিলেটের বালাগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বালাগঞ্জ-খসরুপুর-শেরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সড়কের বালাগঞ্জ অংশের ফাযিলপুর নামক স্থানটিতে ব্যাপক ভাঙ্গনে সড়ক ও সেতু কুশিয়ারা নদীগর্ভে চলে গেছে। সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় এই অঞ্চলের জনসাধারণ যাতায়াতে চরম বিপাকে পড়েছেন। রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে লাইন বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, গত বছরের নভেম্বর মাসে ভাঙন শুরু হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলার প্রস্তাবনা দেওয়া হলেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিয়ে বিগত কয়েকদিন আগে শুধু মাটি ও পলি ব্যাগ দিয়ে ভাঙন ভরাট করে দেওয়া হয়। কালভার্ট ও সড়ক রক্ষায় জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় কয়েকদফা সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং গত ২৮ এপ্রিল স্থানীয় সরকার সিলেটের উপপরিচালক সুবর্ণা সরকার পরিদর্শনে আসেন কিন্তু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় শেষমেশ রক্ষা হলো না রাস্তা ও কালভার্ট।
স্থানীয়রা জানান, সড়কটিতে বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলার হাজার হাজার মানুষ উপজেলা ও জেলা সদর এবং বিভিন্ন হাটবাজারে চলাচল করে থাকেন। ব্যবসায়ীরা উপজেলা সদরের বালাগঞ্জ বাজার থেকে মালামাল পরিবহন করে থাকেন। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হওয়ায় অনেক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হবেন। সড়কপথে চলাচল করতে না পেরে অনেকে বিকল্প হিসেবে পথ না থাকায় যাতায়াতে বিপদে পড়ছেন। ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান চাচ্ছেন এলাকাবাসী। কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী ভাঙ্গন রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডেকে বড় প্রকল্প হাতে নিতে হবে।
পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন জানান, ভাঙন শুরু হলে ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলার আবেদন করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে কাজের আশ্বাস দেওয়া হয় কিন্তু জিও ব্যাগ ও ব্লক না ফেলার কারণে রাস্তার রক্ষা করা যায়নি। গতকাল রাতে আবারো ভাঙন শুরু হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ট্রেনিংয়ে থাকায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হলে তারা বুধবার পরিদর্শন করে গেছেন, পাশাপাশি বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করার কথা জানান। তিনি আরো জানান, ইউনিয়নের হামসাপুর গ্রামসহ অন্যান্য এলাকায় বাড়িঘর ও ফসলের মাঠ প্রতি বছরই কুশিয়ারায় হারিয়ে যাচ্ছে ।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি জানান, ভাঙনের খবর পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী মুহিবুল্লাহকে সাথে নিয়ে পরিদর্শন করে এসেছি এবং যানবাহন ও মানুষের চলাচল স্বাভাবিক করতে বিকল্প রাস্তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।