স্লিপ বরাদ্দের টাকা না পেয়ে পরীক্ষা ব্যয়ে ধার দেনায় শিক্ষকরা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মে ২০২৫, ৮:২৫:৩০ অপরাহ্ন
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি: গোয়াইনঘাটে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের স্লিপের ৪৪ লক্ষাধিক টাকা শিক্ষা কর্মকর্তার একাউন্ট থেকে বিদ্যালয়ের একাউন্টে না দেয়ায় শিক্ষকরা ধার দেনায় পরীক্ষার ব্যয় বহন করছেন। প্রতি বিদ্যালয় থেকে বড় অঙ্কের টাকা দাবীর অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের স্লিপের (প্রথম পর্যায়ের) ৪৪ লক্ষ ৩২ হাজার ৯১২ টাকা ১৯ মার্চ বিল পাশ হয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার একাউন্টে রাখা হয়। বিদ্যালয়ের একাউন্টে উক্ত টাকা শিক্ষা কর্মকতা দেয়ার কথা থাকলেও দেড় মাসেও ছাড় হয়নি টাকা। এনিয়ে বড় অঙ্কের টাকা নেয়ার কৌশল অবলম্বন করা হয়। শিক্ষকদের অলিখিতভাবে স্কুলপ্রতি ৩ হাজার টাকা দেয়ার কথা শিক্ষক মহলে আলোচনা হলে বিষয়টি চাউর হয়। এ ব্যাপারে জানতে কয়েকবার শিক্ষা অফিসে গেলেও পাওয়া যায়নি কর্মকর্তাকে।
গত ৪ মে বিষয়টি সিলেটের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাখাওয়াত এরশেদকে জানালে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। গত ৬ মে ২৬ টি, তারপূর্বে ৭টি এবং ৮ মে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ৩৬টি বিদ্যালয়ের একাউন্টে টাকা ছাড়া হয়। অথচ দেড় মাস ধরে শিক্ষা কর্মকর্তা টাকা ছাড়েননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক শিক্ষক জানান, তাদের দাবীর টাকা দিয়েই একাউন্টে টাকা ছাড় হচ্ছে।
৭ মে দুপুরে শিক্ষা অফিসে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষদের ভীড়। কয়েকজন শিক্ষক বলেন ২৪ সালে দুটি ও ২৫ সালে প্রথম প্রান্তিকসহ মোট ৩টি পরীক্ষার ব্যয়ভার ধারদেনা করে বহন করতে হচ্ছে, প্রশ্নপত্রের ভাউচারও দেয়া হয়না। ২০২৪ সালের শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোতাবেক গড়ে প্রতি শিক্ষার্থীর ১২ টাকা হারে ফি নেয়া হচ্ছে। এতে পরীক্ষার্থীর চেয়ে ফি বেশী দিতে হচ্ছে।
নবাগত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান মিলনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষকদের সেক কমিটির রেজুলেশনসহ সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার প্রত্যয়ন না পেলে কিভাবে দেবো? যারা দিয়েছে তাদের টাকা একাউন্টে দিয়েছি। প্রশ্নপত্রের ভাউচার আমি দেবো। আর ৩ হাজার করে টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন আমার কাছে কোন টাকা পয়সা লাগে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, প্রতি ইউনিয়নে তাদের কিছু নির্ধারিত প্রতিনিধির মাধ্যমে দুই শিক্ষা কর্মকর্তা ও ট্রেজারী অফিসের নামে ঐ টাকা নেয়া হচ্ছে। গত বছর ছিল দুই হাজার। প্রতিবাদ করলেই বদলীসহ নানা বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। তাই বাকরুদ্ধ হয়ে থাকতে হচ্ছে।