গোপনে দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মে ২০২৫, ৮:৫৮:৪৭ অপরাহ্ন
রাষ্ট্রপতি কার্যালইয়ের ফোনে ক্লিয়ারেন্স: সমন্বয়ক মাসুদ
জালালাবাদ ডেস্ক: আওয়ামী সরকারের পতনের ৯ মাস পর গোপনে দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাকে বিদেশ যেতে দেওয়া হয়েছে। তিনি চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গেছেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শ্যালক ডা. নওশাদ খান ও ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ।
বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন বলে জানা গেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম দায়িত্বশীল একটি সূত্রের মাধ্যমে তার দেশ ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সূত্রটি জানিয়েছে, রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ।
সূত্রটি জানিয়েছে, গত রাত ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। সেখানে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাইবাছাই শেষে দেশ ছাড়ার সবুজ সংকেত পান তিনি।
এদিকে আব্দুল হামিদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে পদত্যাগ করবেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে ডিসি অফিসে এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অপরদিকে রাষ্ট্রপতির মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের কার্যালয়ের ফোন কলেই সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশত্যাগ করতে পেরেছেন বলে জানালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ। বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ দাবি করেন তিনি।
আবদুল হান্নান মাসউদ লিখেছেন, ‘আব্দুল হামিদকে বিমানবন্দরে আটকানো হলো, তারপর নাকি চুপ্পুর (মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের আরেক নাম) অফিস থেকে ফোন কল পেয়ে ছেড়ে দেয়া হলো। এরপরও কি ইন্টেরিমকে জুলাই বিপ্লবীরা সাপোর্ট করে যাবে!’ তিনি লেখেন, ‘হয় চুপ্পুকে সরান-লীগকে ব্যান করেন, আর না হয় নিজেরা সরে যান।’
আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অন্তত একটি হত্যা মামলা থাকার তথ্য রয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে।