১১ ঘণ্টা পর সিলেটের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

স্টাফ রিপোর্টার : প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আবারও ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ শুরু হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় রেল যোগযোগ বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার (১০ মে) ভোর ৫টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন।

এর আগে শুক্রবার (৯ মে) রাত সোয়া ১০টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে আসা ৬০৩ নং মালবাহী ট্রেনের একটি বগি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে পৈরতলা রেলক্রসিংয়ের সামনে লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে আখাউড়া রেল জংশন থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে দুর্ঘটনাকবলিত বগিটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত মালবাহী ট্রেনের বগিটি ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে ও কক্সবাজার এক্সপ্রেসের বগিটি সকাল সোয়া ৭টায় উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন ও স্লিপার মেরামত শেষে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মালবাহী একটি কনটেইনার ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন অতিক্রম করে। রাত ১০টা ২২ মিনিটের দিকে জেলা শহরের পৈরতলা লেভেলক্রসিং এলাকায় (বিশ্বরোড গেট) মালবাহী কনটেইনার ট্রেনের পেছন থেকে ১১ নম্বর বগির ট্রলি থেকে উল্টে চট্টগ্রাম অভিমুখী ডাউনলাইনে গিয়ে পড়ে। এতে ওই বগির কয়েকটি চাকা-ট্রলি খুলে রেললাইনের ওপর পড়ে। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথের আপ ও ডাউনলাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে পৈরতলা লেভেলক্রসিং এলাকায় বগি উল্টে যাওয়ায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন থেকে আসা উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন মালবাহী বগিটি উদ্ধার করে লাইন সচল করে। সাড়ে সাত ঘণ্টা পর সড়ক পথে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এতে মহাসড়কটি দীর্ঘ যনজটের কবলে পড়ে।