আ’লীগের কার্যক্রম ‘বন্ধ রাখার’ সরকারি সিদ্ধান্তে বিএনপি আনন্দিত : মির্জা ফখরুল
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ মে ২০২৫, ১০:০৪:২২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ‘বন্ধ রাখার’ সরকারি সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আনন্দিত বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল (১১ মে) রোববার বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর স্বাক্ষরিত পাঠানো বিবৃতিতে এ আনন্দের কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আনন্দিত যে, বিলম্বে হলেও গতরাতে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার ফ্যাসীবাদী সরকারের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত করার এবং বিচারকার্য নির্বিঘœ করার স্বার্থে ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ও তার সাথে যুক্ত সকল সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রাসঙ্গিক আইন সংশোধন করে ফ্যাসিবাদী দলের বিচার করার সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে করি। তবে বিএনপির দাবি মেনে আরও আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে চাপের মুখে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো বিব্রতকর ও অনভিপ্রেত অবস্থায় সরকারকে পড়তে হতো না বলে উল্লেখ করেন তিনি।গত ১০ ফেব্রুয়ারি ও সর্বশেষ ১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে বিএনপি তাদের লিখিত পত্রে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসাবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা’ এবং ‘ফ্যাসিবাদী দল ও সেই দলীয় সরকারের সঙ্গে যুক্তদের বিচার দ্রুত করে দেশের রাজনীতির ময়দানকে জঞ্জালমুক্ত করার দাবি জানিয়েছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন দলটির মহাসচিব।
এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আলোচনায় আমরা স্পষ্ট করে বলেছিলাম, আইনি প্রক্রিয়াতেই ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব ও উচিত। বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও আলোচনায় আমরা আমাদের এসব দাবি বার বার উত্থাপন করেছি।
উল্লেখ্য যে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন চলছিল। প্রথমে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার বিকেল থেকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন। এর মধ্যে গতকাল শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্র্বতী সরকার।