বালাগঞ্জে সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু, প্রতিপক্ষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মে ২০২৫, ৯:০২:১৯ অপরাহ্ন
বালাগঞ্জ প্রতিনিধি: সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কের বড়ভাঙ্গা নদীর খেয়াঘাটে বাসচালকের সাথে তর্কবিতর্কের জেরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত লয়লুছ মিয়া (৫০) রোববার (১১ মে) রাত ১০টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি বালাগঞ্জ ইউনিয়নের সিরিয়া গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার পুত্র। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে তার স্বজনরা প্রতিপক্ষ একই গ্রামের ইউনুস আলীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে।
এতে একটি আধাপাকা ঘর ও আসবাবপত্র, একটি খড়ের ঘর, ৪ টি ছাগলসহ ধান, হাঁস মোরগ আগুনে পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে তাজপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) আশরাফজ্জামান, বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুনিম, বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন ভূইয়া ও সিলেট জজকোর্ট এপিপি এডভোকেট রহমত আলী।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১০ মে) বিকেলে সিলেট সুলতানপুর সড়কে বালাগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয়নের সিরিয়া গ্রামের কমিল উল্লার ছেলে সুমন মিয়া বালাগঞ্জগামী যাত্রীবাহি বাসকে থামানোর জন্য ইশারা দেন। এ সময় বাস না থেমে বড়ভাঙ্গা নদীর খেয়াঘাট স্টান্ডে চলে আসে। কিছু সময় পরে সুমন মিয়া বাস স্ট্যান্ডে এসে বাসের চালকের কাছে বাস দাঁড় করে তিনিসহ যাত্রীদের না উঠানোর কারণ জানতে চান। এ নিয়ে সুমন ও বাস চালকের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে নিহত লয়লুছ মিয়ার ভাই খেয়াঘাট বাস স্ট্যান্ডের ম্যানেজার মানিক মিয়া বাস চালকের পক্ষ নিয়ে সুমনের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন। পরে খেয়া পার হয়ে ডাকবাংলার সামনে এসে সুমন ও তার পক্ষের লোকজনের সাথে ম্যানেজার মানিক মিয়ার ভাই নিহত লয়লুছ মিয়ার পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে লয়লুছ মিয়াসহ ৬ জন গুরুতর আহত হন। আহত লয়লুছ মিয়াকেকে প্রথমে বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত ৯.২০ মিনিটে সমৃত্যুবরণ করেন। খবর পেয়ে স্বজনরা প্রতিপক্ষ সুমন মিয়ার পক্ষের ইউনুস মিয়ার বাসগৃহে অগ্নিসংযোগ করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন ভূইয়া জানান এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোনপক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযান চলমান রয়েছে।