পদোন্নতি পাচ্ছেন ৭ হাজার চিকিৎসক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মে ২০২৫, ৭:৫৮:৫৬ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের পেশাগত মর্যাদা ও কর্মপরিবেশ উন্নয়নের অংশ হিসেবে ৭ হাজার চিকিৎসককে পদোন্নতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি চিকিৎসক ও সার্জনদের বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাবনা চূড়ান্ত পর্যায়ে, যা শিগগিরই বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির (ওএসবি) ৫২তম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা। তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে দেশি-বিদেশি চক্ষু বিশেষজ্ঞরা অংশ নিচ্ছেন। আয়োজকরা জানান, সম্মেলনটি দেশের চক্ষু চিকিৎসা খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের পথ তৈরি করবে।
অনুষ্ঠানে চিকিৎসা সেবায় অব্যবস্থাপনা ও জনভোগান্তি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, রোগী ভর্তি থেকে শুরু করে অন্যান্য সেবা এখনো সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য নয়। চিকিৎসকরা সময়মতো হাসপাতালে যান না। তারা যদি নিয়মিত নিজেদের দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করতে না পারেন তাহলে স্বাস্থ্যসেবায় কাক্সিক্ষত উন্নয়ন হবে না।
এ সময় আক্ষেপ প্রকাশ করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, অনেক চিকিৎসক সময়মতো হাসপাতালে যান না, এটা খুবই দুঃখজনক। রোগীদের জন্য সহজ ও নির্বিচারে সেবা নিশ্চিত করতে হলে চিকিৎসকদের পেশাগত আচরণে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।
নূরজাহান বেগম বলেন, আমরা চিকিৎসকদের পেশাদারিত্ব ও আত্মত্যাগকে মূল্য দিই। দীর্ঘদিন ধরে অনেক চিকিৎসক তাদের ন্যায্য পদোন্নতি ও বেতন কাঠামোতে পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছেন। তাদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে সরকার বড় পরিসরে পদোন্নতির উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা চাই চিকিৎসকরা উৎসাহ নিয়ে দায়িত্ব পালন করুন, আর সেজন্য প্রয়োজন উপযুক্ত স্বীকৃতি ও প্রণোদনা।
চিকিৎসকদের এই কাক্সিক্ষত পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতের সামগ্রিক মানোন্নয়ন ঘটবে বলেও মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, এ পদক্ষেপ চিকিৎসকদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করবে এবং সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দায়িত্ব পালনে আরও আগ্রহী করে তুলবে।
গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসক সংকটের কথা উল্লেখ করে নূরজাহান বেগম বলেন, গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো ভালো চিকিৎসকের সংকট রয়েছে। যারা অভিজ্ঞ, তাদেরই সেসব এলাকায় যেতে হবে। প্রয়োজনে বেতন বাড়িয়ে তাদের সেখানে পাঠাতে হবে। জনগণের দোরগোড়ায় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।