চোর সন্দেহে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যুবককে মারধর
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মে ২০২৫, ৭:২৪:০৬ অপরাহ্ন
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নে রসুলপুর গ্রামের আলতা মিয়ার ছেলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবক আলমগীর মিয়া (২৫) কে চোর সন্দেহে বিদ্যুতের খাম্বার সাথে বেঁধে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের চকসালং গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত যুবক কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
নির্যাতিত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আলমগীরের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ মে আলমগীর মিয়া তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী স্থানীয় নয়াবাজার থেকে ভুলপথে হারিয়ে যায়। রাতে তাকে কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে চোর সন্দেহ আটক করে স্থানীয় ইউপি সদস্য কয়ছর রশীদ এর উপস্থিতিতে কয়েকজন মিলে বিদ্যুতের খাম্বার সাথে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে আহত করে। এসময় তাকে অনেকেই প্রতিবন্ধী বললেও চোর সন্দেহে আরও বেশি পিটানো হয়। পরে তাকে আহত অবস্থায় সিএনজি অটোরিকশা করে তার বাড়ির পাশে রেখে যাওয়া হয়।
নির্যাতিত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আলমগীরের চাচাতো ভাই আবু রায়হান বলেন, আমার ভাই মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। মঙ্গলবার ভোরে আহত অবস্থায় সে বাড়িতে এসেছে। সে কোথায় গিয়েছিল কিছু বলতে পারছেনা সঠিকভাবে। শুধু বলছে কারা জানি তাকে চোর ভেবে খুব মারধর করেছে। সে অনেকবার অনুরোধ করছে তাকে না মারার জন্য, কিন্তু কেউ তার কথা শুনেনি। এ ঘটনায় আমরা কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
প্রতিবন্ধী আলমগীরকে পিটানোর বিষয়ে টিলাগাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য কয়ছর রশীদ বলেন, আমি আসার আগে লোকজন চোর সন্দেহ হয়তো পিটিয়েছে। আমার এলাকায় কিছু দিন আগে ২টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এজন্য এলাকাবাসী চোর সন্দেহ করেছে। এছাড়া এই এলাকায় একসাথে দুটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিলো। পরে প্রতিবন্ধী বুঝতে পেরে বাড়িতে পাঠিয়েছি।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কনক কান্তি সিনহা বলেন, প্রতিবন্ধী আলমগীরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেশকিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম আপছার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।