সমস্যার কথা তুলে ধরায় বহিস্কারের মুখে বাংলাদেশি কর্মী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মে ২০২৫, ৭:২৫:৫৪ অপরাহ্ন
মালয়েশিয়া প্রতিনিধি: প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সাথে খারাপ কাজের পরিবেশ নিয়ে কথা বলার একদিন পর মালয়েশিয়ার মেডিসেরাম কোম্পানিতে কর্মরত এক বাংলাদেশির ভিসা বাতিল ও আরোও ৬০ জনের ভিসা বাতিলের হুমকি দিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শ্রমিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার নেগেরি সেম্বিলানের মেডিসেরাম এসডিএন বিএইচডির ব্যবস্থাপনা নাহিদ ইব্রাহিম নামে ওই কর্মীকে ফোন করে জানায় যে তার ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করা হবে এবং তাকে বহিষ্কার করা হবে।
১৩-১৬ মে মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের চার দিনের সফরের সময় ১৪ মে তিনি মেডিসেরামে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের সাথে দেখা করেন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটি কীভাবে বাংলাদেশিদের জন্য শ্রমবাজার পুনরায় চালু করতে পারে এবং শ্রমিকদের সম্মুখীন সমস্যাগুলি সমাধান করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য তিনজন মালয়েশিয়ান মন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন।
বিদেশী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে মালয়েশিয়া গত বছরের মে মাসে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ স্থগিত করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেডিসেরামের এক শ্রমিক বলেন, নাহিদকে বহিষ্কারের কথা শুনে আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম এবং প্রতিবাদ করেছিলাম। তারপর কর্তৃপক্ষ জানায় যে তাদের কাছে আমাদের ৬০ জন শ্রমিকের একটি তালিকা আছে যাদের বহিষ্কার করা হবে। ভয়ে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশি কর্মী বলেন, শুক্রবার প্রায় ২০০ শ্রমিক ধর্মঘট শুরু করেন।
অধ্যাপক আসিফের একান্ত সচিব সারোয়ার আলমকে লেখা একটি ইমেলে নাহিদ লিখেছেন, কোম্পানি আমার পিছু নিয়েছে এবং আমাদের উপদেষ্টার সাথে শ্রম সমস্যা নিয়ে আমি যা বলেছি তা শুনেছে। হঠাৎ করেই তারা আমাকে অফিসে ডেকে বলেছে যে আমাকে বহিষ্কার করা হবে। এ বিষয়ে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনেও ইমেলটি পাঠানো হয়েছিল।
নাহিদ তিন বছরের চুক্তিতে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন এবং এই বছরের আগস্টে তার ভিসার মেয়াদ শেষ হবে। স্বপ্নের দেশ মালয়েশিয়ায় যেতে নাহিদ ৫ লক্ষ টাকারও বেশি খরচ করেছেন। কোম্পানি তাকে নিয়মিত বেতন দেয়নি বলে এখনও ঋণগ্রস্ত আছেন।
এর আগে মেডিসিরাম কোনও নোটিশ ছাড়াই ৩৫ জন কর্মীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছিল। বর্তমানে, ১৭০ জনের ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন করা হয়নি। কেউ কেউ এক বছর ধরে ভিসা ছাড়াই আছেন, অন্যরা দুই বছর ধরে। কয়েক মাস আগে বৈধ ভিসা না থাকার কারণে চারজন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কিন্তু কোম্পানি কোনও দায়িত্ব নেয়নি বলে চিঠিতে বলা হয়েছে।