চবি ক্যাম্পাসে দশ বছর পর শিবিরের মিছিল
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মে ২০২৫, ৮:৫৭:০৬ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: দশ বছর পর নিজস্ব ব্যানারে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। সোমবার দুপুরে ক্যাম্পাসে এ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ‘শতভাগ আবাসন’, ‘চাকসু নির্বাচন’ এবং ‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার’-সহ সাত দফা দাবিতে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শিবিরের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় একসময় ফ্যাসিবাদী শাসনের ছায়ায় ছিল। ছাত্রলীগের দখলদারিত্বের কারণে ক্যাম্পাসে মিছিল করাও তখন ছিল অত্যন্ত কঠিন। সেই দুঃসময়ে শিবির সব ধরনের নিপীড়নের মুখেও শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে এসেছে এটি আমাদের জন্য আশাব্যঞ্জক। আমরা বিশ্বাস করি, ছাত্ররাজনীতি হওয়া উচিত গঠনমূলক, যেখানে সন্ত্রাস, হল, দখল কিংবা টেন্ডারের কোনো স্থান থাকবে না।’
চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, ‘২০১৫ সালের পর এবারই প্রথম আমরা নিজস্ব ব্যানারে প্রকাশ্যে মিছিল করেছি। ইতিবাচক ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে আমরা ভবিষ্যতেও সক্রিয় থাকব।’
ছাত্রশিবিরের উত্থাপিত সাত দফা দাবি: ১. শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন ভাতা প্রদান করতে হবে। ২. সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে অনতিবিলম্বে সেশনজট নিরসন ও শিক্ষার আধুনিকায়ন নিশ্চিত করতে হবে। ৩. পর্যাপ্ত ও নিরাপদ যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ৪. অনতিবিলম্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। ৫. দ্রুত সময়ের মধ্যে টিএসসি স্থাপন, সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম নির্মাণ, কেন্দ্রীয় মসজিদ পুনর্র্নিমাণ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সংস্কার করতে হবে। ৬. ‘জুলাই বিপ্লব’ এবং ফ্যাসিবাদী শাসনামলে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছাত্রদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করতে হবে। ৭. বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে যেসব অবৈধ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেসবের সঙ্গে জড়িতদের বিচার ও নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।