কমেছে বৃষ্টিপাত, শঙ্কা নেই বন্যার
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মে ২০২৫, ৮:২৩:৪২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমলেও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়িঢলে বেড়েছে নদ-নদীর পানি। সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বিভিন্ন পয়েন্টে এখনও বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে আগামী দু-তিন দিন ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও বন্যার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
পাউবো কর্মকর্তারা বলছেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সিলেট অঞ্চলের সবক’টি নদ-নদীর পানি বেড়েছে। শুধুমাত্র মৌলভীবাজারের জুড়ী নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, ধলই ও পিয়াইন নদীর পানি এখনও বিপদ সীমার কয়েক সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সবক’টি নদীর পানি সমানতালে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, আগের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবারের তুলনায় গতকাল বুধবার (২১ মে) সিলেটে ১৫৮ মিলিমিটার কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ১৯৩ দশমিক ৮ মিলিমিটার হয়। আর গতকাল বুধবার (২১ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৫.২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
পাউবো জানিয়েছে, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৩.২২ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে ২.৮৮ পয়েন্ট নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলা পয়েন্টে ৫.১৬ সেন্টিমিটার ও শেরপুর পয়েন্টে ৩.৩৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে ভারতের মেঘালয় ও আসাম অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেট, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলার হাওরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে হাওর সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের দূর্ভোগ কিছুটা বেড়েছে বলে জানান হাওরপারের বাসিন্দারা।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ভারতের চেরাপুঞ্জি ও সুনামগঞ্জে যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তা বর্ষা মৌসুমের স্বাভাবিক চিত্র। এই বৃষ্টির কারণে নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে, তবে তা বিপৎসীমার অনেক নিচে রয়েছে। আমাদের হাওরে পানি ধারণের যথেষ্ট জায়গা আছে, হাওর পরিপূর্ণ হতে আরও ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগবে। তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী আগামী তিন দিনের মধ্যে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা নেই। আমরা নিয়মিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি বদলাতে শুরুর আগেই সতর্কবার্তা দেওয়া হবে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জালালাবাদকে জানান, বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৫.২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, আরও দু’একদিন সিলেটে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।